আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by
আমার একজন ছেলে সহপাঠি  তার ৩/৪জন বন্ধুর সামনে আমার একজন বান্ধবি কে বলেছিল আমি তোকে বিয়ে করব,আমার বান্ধবী উত্তর এ বলেছিল আমি রাজি,
হানাফি মাঝহাব মতে কুফু মিল থাকলে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে ইন শা আল্লাহ।
সমস্যা হচ্ছা তাদের দুজনের পরিবারের কেও এইটা জানেনা,আর তাদের বাবা মার খুব বেশি একটা দ্বীনের জ্ঞান না থাকার কারনে এই ব্যপারটা কেও মেনে নিবে না,তারা বিশ্বাস করবে না যে এইভাবে বিয়ে হয়!তাছাড়া তারা দুজনেই এখন স্টুডেন্ট, এমতাবস্থায় তারা যদি বাসায় এই ব্যপারটা জানাই,বাসাই মেনে নিবে না,বরঞ্চ মেয়ের বাসা থেকে তার পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে পারে,আরো অনেক প্রবলেম হতে পারে,কিন্তু মেয়েটা ছেলেটাকে স্বামী হিসেবে মানে,তার সাথেই সারাজীবন থাকতে চাই,ছেলেটার পরে জব হলে বাসা থেকে হইত মানবে,কিন্তু এখন বললে হিতে বিপরীত হবে,

এমতাবস্থায় তাদের কি করা উচিত?১।তাদের বাসায় যেহেতু জানেনা,তাহলে কি তাদের মধ্যে সামী স্ত্রীর সম্পরক রাখা জায়েয?
২।বাসায় এখন জানালে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে সব কিছু, কারন মেয়ের পারিবার খুব কঠিন আর সেকুলার,এখন কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে যদি অভিভাবক ছাড়াই বিবাহ করে,তাহল তাদের এই বিবাহ সম্পন্ন হবে।
তবে কুফুর সামঞ্জস্যতা না থাকলে অভিভাবকদের অধিকার থাকবে,আদালতের মাধ্যমে এই বিবাহ বিচ্ছেদ করে দেওয়ার।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১)


عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ” جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبِي وَنِعْمَ الْأَبُ هُوَ، خَطَبَنِي إِلَيْهِ عَمُّ وَلَدِي فَرَدَّهُ، وَأَنْكَحَنِي رَجُلًا وَأَنَا كَارِهَةٌ. فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِيهَا، فَسَأَلَهُ عَنْ قَوْلِهَا، فَقَالَ: صَدَقَتْ، أَنْكَحْتُهَا وَلَمْ آلُهَا خَيْرًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نِكَاحَ لَكِ، اذْهَبِي فَانْكِحِي مَنْ شِئْتِ

হযরত সালামা বিনতে আব্দুর রহমান রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এল। এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা! কতইনা উত্তম পিতা! আমার চাচাত ভাই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল আর তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। আর এমন এক ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন যাকে আমি অপছন্দ করি। এ ব্যাপারে রাসূল সাঃ তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলে পিতা বলে, মেয়েটি সত্যই বলেছে। আমি তাকে এমন পাত্রের সাথে বিয়ে দিচ্ছি যার পরিবার ভাল নয়। তখন রাসূল সাঃ মেয়েটিকে বললেন, “এ বিয়ে হবে না, তুমি যাও, যাকে ইচ্ছে বিয়ে করে নাও”। {মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১০৩০৪, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৫৯৫৩}
,
এই সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

,
বিবাহ করা বা দেওয়া বুঝায় এমন সব শব্দে বিবাহ সংঘটিত হবে। যেমন বলা, (زوجت أو نكحت) আমি বিবাহ করলাম বা বিয়ে দিলাম। অথবা বলা, (قبلت هذا النكاح) আমি এ বিয়ে কবুল করলাম। অথবা (تزوجتها) আমি তাকে বিয়ে করলাম, বা (تزوجت) আমি বিয়ে করলাম, অথবা (رضيت) এ বিয়ে আমি রাজি আছি।
,
وأما العقد بصيغة المضارع: مثل أن يقول الرجل للمرأة في مجلس العقد: أتزوجك على مهر قدره كذا، فقالت: أقبل أو أرضى، صح العقد عند الحنفية والمالكية إذا كانت هناك قرينة تدل على إرادة إنشاء العقد في الحال، لا للوعد في المستقبل، كأن يكون المجلس مهيئاً لإجراء عقد الزواج،
البدائع: 231/2، الدر المختار ورد المحتار: 378/2
সারমর্মঃ
ভবিষ্যৎ বাচক শব্দ দ্বারা বিবাহের ক্ষেত্রে জরুরি হলো সেখানে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যেতে হবে,যেটি ঐ সময়েই বিবাহ হয়ে যাওয়ার উপর বুঝায়।
ওয়াদা যেনো না বুঝায়।    

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি পাত্র পাত্রী উভয়েই প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে থাকে,এবং উল্লেখিত পুরুষ  সাক্ষীগনও বালেগ হয়ে থাকে, উক্ত মজলিস যদি সেই সময়েই বিবাহ সংগঠিত হওয়ার হয়ে থাকে, তাহলে এই বিবাহ হয়ে যাবে।
তাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক রাখা জায়েজ আছে। 
,
(০২)
আস্তে ধীরে হিকমত ও প্রজ্ঞার সাথে জানাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...