আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (64 points)
আসসালামু আলাইকুম।

1) কারও আপন কেউ মারা গেলে সে যদি প্রথমেই সবর করতে না পারে, কান্নাকাটি, হাহুতাশ, অভিযোগ করে, ভাগ‍্যের উপর অসন্তুষ্ট হয়। পরবর্তীতে সে কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্ত যখনই তার বিচ্ছেদের কথা মনে পড়ে তখনই তার খুব কষ্ট হয়, খুব কাদে  তাহলে কি তার এই কষ্টের জন‍্য আল্লাহর কাছ থেকে সে পুরষ্কার পাবে? নাকি প্রথমে সবর করেনি তাই সে পরবর্তীতে এই কষ্টের জন্য কোনই পুরষ্কার পাবে না?
2)কষ্টে মানুষের যে বুক ভার হয়ে থাকে বা মানুষ যে কষ্টে কাদে, তার এই কষ্টের জন্য কি সে সাওয়াব পাবে?

3)জান্নাত খালি ময়দান। আমাদের আমল দিয়েই আমাদেরকে জান্নাতকে সাজাতে হবে। এটা কি সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
عن أنس بن مالك رضي الله عنه، قال: مر النبي صلى الله عليه وسلم بامرأة تبكي عند قبر، فقال: «اتقي الله واصبري» قالت: إليك عني، فإنك لم تصب بمصيبتي، ولم تعرفه، فقيل لها: إنه النبي صلى الله عليه وسلم، فأتت باب النبي صلى الله عليه وسلم، فلم تجد عنده بوابين، فقالت: لم أعرفك، فقال: «إنما الصبر عند الصدمة الأولى»
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যিনি কবরের পাশে কাঁদছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি আল্লা্হকে ভয় কর এবং সবর কর। মহিলাটি বললেন, আমার কাছ থেকে চলে যান। আপনার উপর তো আমার মত মুসিবত আসেনি। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে চিনতে পারেননি। পরে তাকে বলা হল, তিনি তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুয়ারে হাযির হলেন, তাঁর কাছে কোন পাহারাদার পেলেন না। তিনি আরয করলেন, আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। তিনি বললেনঃ সবর তো বিপদের প্রথম অবস্থাতেই। (সহীহ-বোখারী-১২৮৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
সে পরবর্তীতে যদি সবর গ্রহণ করে,তাহলে সেও কিছু সওয়াব পাবে।তবে প্রথম সবরের যে সওয়াব তা থেকে সে বঞ্চিত থাকবে।
মুল্লা আলী কারী রাহ বলেন,
أما إذا لم يصر الصبر طبعا ثم تذكر المصيبة ثم صبر ولو طال العهد فيثاب، كما سيأتي في الحديث، ولكن الدرجة الأعلى عند الصدمة الأولى
যদি কেউ প্রথমে ধর্য্য ধরতে না পারে,পরবর্তীতে তার ধর্য্যর কথা স্বরণে আসে,এবং অতঃপর সে ধর্য্যধারণ করে, তাহলে সেও সওয়াব পাবে,যদিও দীর্ঘকাল পরেও সে সবর করে থাকুক না কেন? যেমন সামনের হাদীসে আসতেছে।তবে মসিবতের প্রথম মুহূর্তে সবর করাই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।
(মিশকাত হাদীস নং- ১৭২৮ এর ব্যখ্যা দ্রষ্টব্য)

(২)জ্বী,পাবে।

(৩)জ্বী,সঠিক। আমলের প্রতি উৎসাহি হওয়ার জন্য রাসূল সাঃ এভাবে দৃষ্টান্ত দিয়েছে।বিশেষ করে যিকিরের প্রতি মনোনিবেশ করার জন্য রাসূল সাঃ এমনটা বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...