আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (102 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।

আমার আহলিয়া কিছু কথা বলে যেটা কুফুরি মনে হয় তাই একজনকে জিজ্ঞেস করি,উনি বলেন কুফুরি।

আমার আহলিয়াকে জানালে সে খুব মানসিক চাপে পড়ে।সে কাফের হবার ভয় পায়।আর আমার বলার ভূলের কারণে সে নিজেকে ভাবে হয়ত কাফির হয়ে গেছে,কিন্তু সে কিছুতেই বুঝতে পারছিলনা এই সাধারণ কথা কিভাবে কাফির হয়।পরবর্তীতে একজন মুফতি ও 'আলিমের সাথে যোগাযোগ করি তিনি বলেন এটা কুফুরি নয়,মুফতি সাহেব রাগ করে বলেন এত সহজে কেন কুফুরির ফতোয়া দিবে। ততক্ষণে আমার স্ত্রী মানসিক চাপে আমাকে বলেছে 'আচ্ছা যাও আমি কাফির তোমরাই ভাল মুসলিম'।
পরবর্তীতে ওই মুফতির কথা বলি আমার আহলিয়াকে যে উনি বলেছেন সমস্যা নেই ইন শা আল্লাহ।তখন সে কনফিউজড হয়ে যায় যে আমি একবার বলি কাফির হইসে একবার বলি হয়নি।তখন ওকে  বুঝানোর জন্য বলি তুমি কাফির হওনি আলহামদুলিল্লাহ,তখন সে বলে, 'জানিনা হইসি কি হইনি'। তখন ওকে ধমক দিয়ে বলি এসব কি কথা,এতে আরো গুনাহ হবে,তখন ওকে বলি 'আমি মুসলিম আলহামদুলিল্লাহ' এইকথা দশবার বলো,তারপর একটু পরজিজ্ঞেস করি বলছে কিনা,সে বলে না,এরপর আবার জোর করি তখন বলছে।এখানে উল্লেখ্য যে সে মাসিকে ছিল।এবং সে অনেক ভীত ছিল,কিন্তু সে কাফির এর কথা বললেও এই সময় সে ইসলামিক ক্লাসে স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছে(তালিম ক্লাস)।


এখন প্রশ্ন আমার ভুলের কারণে সে কথাগুলা বলছে এতে কাফির বা কুফুরি হয়েছে কিনা,করণীয় কি।

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7771 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
হাদীসে রাসূল সাঃ যে ব্যক্তি কাফের না তাকে কাফের বললে, সেই কুফরী তার দিকে প্রত্যাবর্তন করে মর্মে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন-
عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك
হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮}

কত মারাত্মক হুশিয়ারী, তাই কাউকে কাফের, মুশরিক, নাস্তিক বলার ক্ষেত্রে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে সতঃসিদ্ধ নিয়ম সম্পর্কে  আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা।কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত মুফতী সাহেবকে দোষ না দেয়াই ভালো। উনি যদি ইজেতেহাদ করে বলে থাকেন, তাহলে উনার কোনো গোনাহ হবে না। আর যদি উনি এমনিতেই বলে থাকেন, তাহলে এটা উনার বিষয়। 
যাইহোক আপনি স্ত্রী কাফির হবে না। এবং উনার এরকম হাবভাবের জন্য উনার কোনো গোনাহ হবে না। কেউ আমাকে কাফির বলে ফেললে আমার দায়িত্ব হল, সাথে সাথে কালিমা পড়ে নেওয়া। এবং সাথে সাথে মুসলমান হয়ে যাওয়া। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...