আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
473 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)

আসসালামু 'আলাইকুম
১।জামায় লাল রঙ এর সাথে অন্য রঙের স্ট্রাইপ থাকলে (প্রায় ৬ ভাগের ১ ভাগ),সেই জামা পড়া যাবে কি?

২।গালের উপরের দাড়ি কামানো কি জায়েয?কিছু 'আলিমকে দেখেছি গালের উপরের দাড়ি কামিয়ে রাখেন।

৩।সাধারণ মানুষদের জন্য যেভাবে নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের তাক্বলীদ করা ওয়াজিব ,একইভাবে 'আলিমদের জন্যও কি নির্দিষ্ট কোন মাযহাব অনুযায়ী ফাতওয়া দেয়া ওয়াজিব?

৪।বর্তমানে এমন 'আলিম রয়েছেন যারা নির্দিষ্ট কোন মাযহাব অনুযায়ী ফাতওয়া দেন না,বরং নিজেরাই বিচার বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন মাযহাবের মধ্যে যে মাযহাবের ফাতওয়া অধিক বিশুদ্ধ মনে হয় সে মাযহাব অনুযায়ী ফাতওয়া দেন।তাদের অনুসরণ করা যাবে কি?

৫।একজন 'আলিম নিজে নিজে ইজতিহাদ করতে সক্ষম কিনা বা তার যোগ্যতা আছে কিনা, একজন সাধারণ মানুষ তা কীভাবে বুঝতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) মহিলাদের জন্য সকল রংয়ের পোষাক পড়া জায়েয আছে।পুরুষের জন্য খালিছ লাল এবং হলুদ রংয়ের পোষাক নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী পুরুষদের জন্যও অনুমতি রয়েছে। তবে শর্ত হলো,মহিলাদের সাদৃশ্য না হওয়া। কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৫/৩৩০,ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/১২৫, ফাতাওয়ায়ে রাশিদিয়্যাহ-৫৮৫)
لما فى الشامية ،ج:٦ص:٣٨٥
وكره لبس المعصفر والمزعفر الأحمر والاصفر للرجال مفاده انه لايكره للنساء 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জামায় লাল রঙ এর সাথে অন্য রঙের স্ট্রাইপ থাকলে (প্রায় ৬ ভাগের ১ ভাগ),সেই জামা পড়া যাবে 

চার মাযহাব মতে সহীহ সুন্নাহর আলোকে একমুষ্টি পরিমান দাড়ি রাখা ওয়াজিব।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1039 
اللحية لغة: الشعر النابت على الخدين والذقن، والجمع اللحى واللحى.......... واللحية في الاصطلاح، قال ابن عابدين: المراد باللحية كما هو ظاهر كلامهم الشعر النابت على الخدين من عذار، وعارض، والذقن
শাব্দিকভাবে দাড়ি বলা হয়,ঐ চুল যা দুনু গাল এবং থুতনিতে থাকে।বহুবচন হল,লুহা।পরিভাষায় দাড়ি বলা হয়,যা ইবনে আবেদীন শামী রাহ, বলেছেন,দুনু গাল,কানপট্টির উপর,গালের সামনের অংশ,এবং থুতনি সবকিছুকেই মূলত দাড়ি বলা হয়ে থাকে। 

দাড়িকে আরবীতে লিহইয়া (لحية) বলা হয় । এর আভিধানিক অর্থ হলো থুতনিসহ মুখের দুই পাশের ওই হাড়, যার ওপর দাঁতগুলো অবস্থিত। প্রাপ্ত বয়সে ওই হাড়ের ওপর যে লোম বা কেশ গজায়, ওই লোম বা কেশগুলোকেই হাড়ের নামকরণে লিহইয়া বলা হয়।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/৩৯৬)

দাড়ির সীমান-
দাড়ির সীমানা কানপট্টি বরাবর বাড়ন্ত হাড্ডি থেকে অন্য কানপট্টি বরাবর বাড়ন্ত হাড্ডি পর্যন্ত।এবং নিচের ঠোট থেকে নিয়ে থুতনি পর্যন্ত যে চুল থাকবে সবগুলোই দাড়ির অন্তর্ভুক্ত।খাদ্যনালী এবং খাদ্যনালীর উপরের চুলকে না মুন্ডানো-ই উচিৎ।হ্যা খাদ্যনালীর নিচের চুলকে মুন্ডানো যাবে।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৫/৫৫৪)
যেমন ফাতাওয়ায়ে শামীতে(১/১০০) বর্ণিত রয়েছে,
وظاهر كلامهم أن المراد بها الشعر النابت على الخدين من عذار وعارض والذقن.وفي شرح الإرشاد: اللحية الشعر النابت بمجتمع الخدين والعارض ما بينهما وبين العذار وهو القدر المحاذي للأذن، يتصل من الأعلى بالصدغ ومن الأسفل بالعارض بحر.
দাড়ির চতুর্দিক এক মুষ্টি পরিমাণ হওয়াই বাঞ্চনীয়।কোনো দিক থেকেই কর্তন করা যাবে না।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৫/৫৫৪,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-২৭/৪৮৩)
(৩) জ্বী, সাধারণত আলেমদের জন্যও নির্দিষ্ট যে কোনো একটি মাযহাবকে অনুসরণ করা ওয়াজিব। 
(৪) তারা নিজেরা বিচার বিশ্লেষন করে আমল করতে পারবেন। তবে অন্যদের জন্য তাদেরকে অনুসরণ করা জায়েয হবে না। 
(৫) কারো বুঝার কোনো প্রয়োজন নাই। কেননা কারো ইজতেহাদের যোগ্যতা থাকলে তিনি নিজেই আমল করবেন। তাকে অন্যর জন্য অনুসরণ করা জায়েয হবে না। সুতরাং কারো ইজতেহাদ নিয়ে জানার বা যোগ্যতার মাপকাঠির কোনো প্রশ্নই আসে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...