ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দ্বীনের পথে চলতে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন করা ফরজ।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
مِنْ فَرَائِضِ الْإِسْلَامِ تَعَلُّمُهُ مَا يَحْتَاجُ إلَيْهِ الْعَبْدُ فِي إقَامَةِ دِينِهِ وَإِخْلَاصِ عَمَلِهِ لِلَّهِ تَعَالَى وَمُعَاشَرَةِ عِبَادِهِ.
প্রত্যেক মুসলমানের উপর ইসলামের ফরয বিধানসমূহ থেকে একটি ফরয হচ্ছে, দ্বীন প্রতিষ্টা তথা এখলাছের সাথে দ্বীনের উপর আমল করতে প্রয়োজনীয় সব জ্ঞানার্জন করা এবং মানুষের সাথে সদাচরণের জ্ঞান অর্জন করা(ফরয)।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1893
সুতরাং ফরয ইলম শিক্ষার ব্যাপারে কারো বিধিনিষেধকে মান্য করা যাবে না।রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০) বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1722
প্রয়োজের বেশী ইলম অর্জন করা নফল বা মুস্তাহাব।নফল ইবাদতে স্বামীর হক আদায়ে সমস্যা না হলে, এক্ষেত্রেও স্বামী বাধা দিতে পারবে না।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1707
সুতরাং
ফরয ইলম শিক্ষায় বাধা প্রদান এবং নফল ইলম শিক্ষায় বিনা প্রয়োজনে বাধা প্রদান করলে স্বামী অবশ্যই গোনাহগার হবে।
ফরয ইলম সে যেকোনো উপায়ে শিখবে।এটা অত্যাবশ্যকীয়। এবং নফল ইলমকে স্বামীর হক আদায়ের পর সময় থাকলে শিখবে।এ ব্যাপারে রুখসত রয়েছে।
স্বামীর হক আদায়ের পর অবশিষ্ট সময়টুকুকে স্ত্রীর অবশ্যই তার নিজ ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি স্বামীর অমতে ফরযে আইন জ্ঞান IOM এ পড়তে পারবেন। এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, আপানি চাইলে পর্দা সম্মত কোনো চাকুরীও করতে পারবেন।