আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (19 points)
আমার এক বন্ধুর মহল্লার হাফেজিয়া মাদ্রাসার অল্পবয়স্ক উস্তাদের কার্যকলাপে সন্দেহ হলে আমার বন্ধু তাকে ফলো করে। পরে তাকে মাদ্রাসার সিঁড়িতে (গোপন জায়গা)  অন্য গ্রামের এক মেয়ের সাথে জিনারত অবস্হায়  হাতে নাতে ধরে এবং গ্রামবাসীদের ডাকে। পরে এটার বিচার হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আমার বন্ধুকে গ্রামের কিছু মুরুব্বিরা তিরস্কার করে বিষয়টা প্রকাশ করার জন্যে।
আমার প্রশ্ন হলো আমর বন্ধু এটা প্রকাশ করে কি কোনো অন্যায় করেছে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-
ইবনে হজর আসক্বালানী রাহ, ফাতহুল বারীতে লিখেন,
ﻭﻳﺆﺧﺬ ﻣﻦ ﻗﻀﻴﺘﻪ : ﺃﻧﻪ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻤﻦ ﻭﻗﻊ ﻓﻲ ﻣﺜﻞ ﻗﻀﻴﺘﻪ ﺃﻥ ﻳﺘﻮﺏ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻳﺴﺘﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻭﻻ ﻳﺬﻛﺮ ﺫﻟﻚ ﻷﺣﺪ ﻛﻤﺎ ﺃﺷﺎﺭ ﺑﻪ ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﻭﻋﻤﺮ ﻋﻠﻰ ﻣﺎﻋﺰ . ﻭﺃﻥ ﻣَﻦ ﺍﻃﻠﻊ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ﻳﺴﺘﺮ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﻤﺎ ﺫﻛﺮﻧﺎ ، ﻭﻻ ﻳﻔﻀﺤﻪ ، ﻭﻻ ﻳﺮﻓﻌﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻘﺼﺔ " ﻟﻮ ﺳﺘﺮﺗﻪ ﺑﺜﻮﺑﻚ ﻟﻜﺎﻥ ﺧﻴﺮﺍً ﻟﻚ " ،
মাইয ইবনে মালিক আল-আসলমি এর ঘটনা থেকে আমরা অনুধাবন করতে পেরেছি যে,যে ব্যক্তি মাইয ইবনে মালিক আল-আসলমীর মত ঘটনায় যুক্ত হয়ে যাবে,তার জন্য মুস্তাহাব হলো,সে আল্লাহর নিকট তাওবাহ করে নিবে।এবং উক্ত বিষয়কে গোপন করে নিজ ইজ্জত-আব্রুকে ঢেকে রাখবে।কারো নিকট সে তা প্রকাশ করবে না।

যেমনটা আবু-বকর রাযি, এবং উমর রাযি, মাইয আসলমীকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

এবং অন্য কেউ যদি সেই গোনাহকে জেনে ফেলে তার জন্যও সেই বিষয়কে ঢেকে রাখা মুস্তাহাব।সে যেন উক্ত ঘটনার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত-অপদস্থ না করে এবং উক্ত বিষয়কে ইমাম বা বিচারকের নিকট উপস্থাপন না করে।

যেমনটা রাসূলুল্লাহ সাঃ আসলমীর ঘটনাকে উপস্থাপনাকারী হযরত হায্যাল রাযি, কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন যে, হে হায্যাল! তুমি যদি তোমার কাপড় দ্বারা বিষয়টাকে ঢেকে রাখতে তাহলে সেটা তোমার জন্য ভালো হতো তথা সওয়াবের কারণ হতো।(ফতহুল বারী-১২/১২৪)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 906

অন্যর গোনাহকে লিকিয়ে রাখা মুস্তাহাব।সম্ভব হলে তাকে হেকমতের সাথে নসিহত করা।তবে যদি কেউ তাবে সতর্ক করার পরও বারংবার গোনাহে লিপ্ত হয়ে যায়।তাহলে এমন ব্যক্তির বিষয় প্রথমে প্রতিষ্টান প্রধান বা তার অভিভাবকের নিকট প্রকাশ করা হবে।তারপরও সে ক্ষান্ত না হলে জনসম্মুখে প্রকাশ করা যাবে।

আপনার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে তাকে সতর্ক করা উচিৎ ছিলো।আপনি মুস্তাহাবের খেলাফ কাজ করেছেন।আল্লাহ ভবিষ্যতে আমাদের সবাইকে মুস্তাহাব ও উত্তম অনুযায়ী আ'মল করার তাওফিক দান করুক।আমীন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
গোপন রাখবে ভালো কথা। তাহলে যিনা করলে যে ইসলাম এর আইন ১০০ তি বেত্রাঘাত সেটি কিভাবে বাস্তবায়ন হবে..? যদি গুনাহ টি অন্য কেও গোপন রাখে।
by (597,330 points)
বেত্রাঘাত তো প্রকাশ হওয়ার পর। এজন্যই বলা হচ্ছে যে, গোপন রেখে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে নেওয়া। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...