আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (50 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, 

১. আমাকে একটা মেয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তাকে ব্যাক্তিগতভাবে আমি চিনি না। তবে বায়োডাটা তে যা উল্লেখ করেছে তা থেকে খুব একটা আমলওয়ালা মনে হয় না। পর্দা করলেও নিকাব করে না। তবে বলেছে বিয়ের পর থেকে নিকাব করবে। তাকে বিয়ে করা কি উচিত হবে?

 

২. এক ভাই এর সাথে একটা মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিলো। মেয়ের পিতা-ভাই নেই। তবে তার মা আর বোন বিয়েতে রাজি। তখন এক দ্বীনি ভাই আমাকে শাইখ ইবনু বায, শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদের ফাতওয়া দেখিয়ে বললেন অনলাইনে বিয়ে পড়ালে সেটা জায়িজ। তাই দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে অনলাইনে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছি। বিয়েটা কি শুদ্ধ হয়েছে? সম্ভবত শাইখ মুনাজ্জিদের একটা ফাতওয়া তে দেখেছিলাম, কেউ যদি কোন আলিমের ভুল ইজতিহাদেরও উপর নির্ভর করে কোন আমল করে ফেলে তবে সেটা শুদ্ধ হয়ে যাবে। 

 

৩. দ্রুত বিয়ের জন্য কোন কোন আলিম বিভিন্ন প্রকার আমল সাজেস্ট করেন। যেমন- 

  • কোনো কোনো আলেম বলেন, যেসব যুবক-যুবতীদের বিবাহের বয়স অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না, তাদের মধ্যে যুবকেরা ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি চেপে ধরে এবং যুবতীরা বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কব্জি চেপে ধরে প্রত্যহ ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয়ের আগে ৪০ বার হিসাবে ৪০ দিন পর্যন্ত আল্লাহর গুণবাচক নাম ‘ইয়া ফাত্তাহু’ (يا فتّاح) -অর্থ হে উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুতকারী-পড়লে দ্রত বিয়ে হয়।
  • কোনো কোনো আলেম বলেন, চল্লিশ দিন সূরা মুমতাহিনা তেলাওয়াত করলে দ্রত বিয়ে হয়।

এই ধরণের আমলগুলার শরঈ বৈধতা আছে? আর করলে বিদআহ হবে কি? 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)যদি সে বাহ্যিক ভাবে দ্বীনকে মানে,এবং দ্বীনকে মানার ওয়াদা করে, তাহলে আপনি তাকে বিয়ে করতে পরবেন। এতে কোনো অসুবিধে হবে না।

(২)মুবাইল কলের মাধ্যমে বিবাহ সংগঠিত হবে না।কেননা শরীয়তে যেসব ক্ষেত্রে লেনদেন বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষ্যকে শর্ত করা হয়েছে,সেক্ষেত্রে সাক্ষীগণের শোনা শর্ত।কিন্তু এখানে সাক্ষীদয়ের শ্রবণ পাওয়া যাচ্ছে না,বিধায় সর্বসম্মতিক্রমে বিবাহ সংগঠিত হবে না।আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ 
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
 দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে  উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2679

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পূর্বে বিয়ে হয়নি,আপনি বর্তমানে তাদেরকে অফলাইনে বিয়ে করিয়ে দেন।তবে অতীতের জন্য গোনাহ হবে না।যেহেতু কোনো এক মুফতির ফাতাওয়া অনুসারে বিয়ে হয়েছিল।জাযাকুমুল্লাহ।

(৩)https://www.ifatwa.info/2122 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
দূত বিয়ের জন্য আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন।সালাতুল হাজত পড়ে দু'আ করুন।সালাতুল হাজতের নিয়ম জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1453
আপনি যে আ'মলের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটাও করতে পারেন।একাকি ফরয নামায বা নফল নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ,সহ দু'আয়ে মাছুরা পড়ার পর সূরায়ে ফুরকানের ৭৪নং আয়াতও পড়তে পারেন।অনেক বুজুর্গানে কেরাম ও শায়েখগণ এ আ'মলের পরামর্শ দিয়েছেন।

থানভী রাহ ও কাস্মীরি রাহ এর উক্ত দুইটি কিতাব দ্বারা আ'মল করতে পারবেন।তবে অন্তরকে বিশুদ্ধ রাখতে হবে।এগুলো শুধুমাত্র একটা পরামর্শ। আল্লাহ চাইলে কবুল করতেও পারেন আবার না ও করতে পারেন। এগুলোর নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নাই।বরং এগুলো নেককার বান্দাদের কিছু দ্বীনী পরামর্শ মাত্র।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শাইখ, বিয়েতে ইজাব-কবুল দুই সাক্ষীই নিজ কানে শুনেছেন আর কবুলের পর আমি নিজেও তাদের জিজ্ঞেস করেছি যে তারা ঠিকভাবে শুনেছেন কিনা। তারা জানিয়েছেন যে তারা শুনেছেন। বিয়ে কি এখনও অশুদ্ধই থাকবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...