আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
351 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (47 points)
আমার বিয়ের প্রস্তাব এসেছে ছেলে দীন্দার।ছেলে তাব্লিগ করে। ছেলে চায় না আমি জব করি।কিন্তু আমার বাবা আমাকে জব করাবেন।এই স্বপ্ন নিয়ে আমাকে পড়াচ্ছেন।আমি ভার্সিটিতে পড়ছি।আমাকে জব করাবে না এটা শুনার পরেও আমি রাজি এটা শুনে আব্বু খুব ক্ষেপে গেছেন খুব রাগারাগি করছেন আর কস্ট ও পাচ্ছেন।আমার দীন্দারিতার জন্য ছেলে আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে আর আমিও দীন্দারিতার জন্য জব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং বিয়ে তে রাজি আছি বলেছি।কিন্তু আব্বুর জন্য বিয়ে টা আগাচ্ছে না।মা নাই আমার। মারা গেছে।বাবা আমাকে ছোট থেকে অনেক কস্ট করে মানুষ করেছেন। এখন আমার কি করা উচিৎ??  আব্বু কে কস্ট না দেওয়ার জন্য কি বিয়ে টাতে না করা উচিৎ?? দীন্দারিতা আর উত্তম আখলাক এর জন্য ছেলে কে আমার পছন্দ হয়েছে।এখন  কোন টা ছাড়ব?? আব্বুর স্বপ্ন পূরণ করব নাকি এই বিয়ে করব?? ছেলে জব করাবে না আমাকে এজন্য আব্বু কস্ট পেয়েছেন।তাই আব্বু বিয়েতে আর আগাতে চাচ্ছেন না।কিন্তু আমি চাই বিয়ে টা হোক।আবার আব্বুকে কস্ট দিয়ে বিয়ে টা করতেও পারছি না।কি করব এখন আমি?? ইসলাম কি বলে এ সিচুয়েশনে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার পিতাকে দ্বীনের মাহাত্ব্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝানোর চেষ্টা করবেন। দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম , এ কথা উনাকে ভালভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবেন। হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার পাত্র-পাত্রী খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
আপনি আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত যাবেন না। বরং ছেলে যদি দ্বীনদার হয়, তাহলে আপনি উক্ত ছেলে সম্পর্কে ও দ্বীনদারিত্ব সম্পর্কে আপনার পিতাকে বুঝাতে থাকেন। নিজে বুঝান, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজন দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করুন। এবং চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন।সম্ভব হলে মাহরাম কোনো পুরুষ বা কোনো মহিলার মাধ্যমে কিংবা নিজে উক্ত ছেলে কিছুটা অপেক্ষার কথা বলুন।

আপনি আপনার বাবার চাহিদার চেয়ে বরং আপনার দ্বীন ও অাখেরাতকে প্রদান্য দান করুন।

যদি আপনার পিতা দ্বীনদার পাত্রকে কখনো না মানেন।শত চেষ্টার পরও উনি না বুঝেন,তাহলে আপনি ঐ দ্বীনদার পাত্রকে বিয়ে করে নিতে পারেন।এতে পিতার অবাধ্যতার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...