ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(قوله بين أخيه وأخته وأمه وأبيه) في بعض النسخ وبين بالواو وهكذا رأيته في المجتبى قال في الشرعة ويفرق بين الصبيان في المضاجع إذا بلغوا عشر سنين، ويحول بين ذكور الصبيان والنسوان وبين الصبيان والرجال فإن ذلك داعية إلى الفتنة ولو بعد حين اهـ وفي البزازية إذا بلغ الصبي عشرا لا ينام مع أمه وأخته وامرأة إلا بامرأته أو جاريته اهـ فالمراد التفريق بينهما عند النوم خوفا من الوقوع في المحذور، فإن الولد إذا بلغ عشرا عقل الجماع، ولا ديانة له ترده فربما وقع على أخته أو أمه، فإن النوم وقت راحة مهيج للشهوة وترتفع فيه الثياب عن العورة من الفريقين، فيؤدي إلى المحظور وإلى المضاجعة المحرمة خصوصا في أبناء هذا الزمان فإنهم يعرفون الفسق أكثر من الكبار.
দশ বৎসরে উপনীত হওয়া সন্তানদের মধ্যে শয়নস্থল-কে পৃথক করে দিতে হবে।এ বিধান ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তান এবং সন্তান ও পুরুষদের মধ্যে প্রযোজ্য হবে।কেননা এটা ফিতনার দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদিও বিষয়টা সময়সাপেক্ষ।বায্যাযিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,যখন ছেলে সন্তান দশ বৎসরে উপনীত হয়ে যাবে,তখন যেন সে তার মা,বোন,এবং অন্য কোনো নারীর সাথে শয়ন না করে,(তবে নিজ স্ত্রী বা দাসীর সাথে শয়ন করতে পারবে)।মোটকথা নিষিদ্ধ জিনিষ তথা যিনা-ব্যভিচার থেকে বাচাতেই মূলত শয়নস্থলকে পৃথক করে দেয়ার বিধান এসেছে।কেননা বাচ্ছা দশ বৎসরে উপনীত হয়ে গেলে সে সহবাসের তাৎপর্য বুঝে নিতে সক্ষম হয়ে যায়।এবং বয়স কম থাকার ধরুণ তার খোদাভীরুতাও অসম্পূর্ণ থাককে।তাই আশংকা থেকে যায় যে,হয়তো সে তার সাথে শয়নকৃত ব্যক্তির উপর আপতিত হয়ে যেতে পারে।(রদ্দুল মুহতার)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মেয়ে তার বাবার সাথে একই খাটে ঘুমোতে পারবে না। এবং ছেলে তার মায়ের সাথে একই খাটে ঘুমোতে পারবে না। হ্যা, যদি মেহমান আসার দরুণ ঘরে আর কোনো জায়গা না থাকে, এবং মা খাটের মধ্যখানে থাকেন, তাহলে এমতাবস্থায় বাবা মায়ের সাথে মেয়ে খাটে ঘুমোতে পারবে।