জবাবঃ-
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عن أنس بن مالك، أن المغيرة بن شعبة أراد أن يتزوج امرأة، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: «اذهب فانظر إليها، فإنه أحرى أن يؤدم بينكما» ، ففعل، فتزوجها، فذكر من موافقته
মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) এক মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছা করলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ তুমি গিয়ে তাকে দেখে নাও। কেননা তা তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টিতে সাহায়ক হবে। অতঃপর তিনি তাই করলেন এবং তাকে বিবাহ করলেন। পরে তাঁর নিকট তাদের দাম্পত্য সমপ্রীতির কথা উল্লেখ করা হয়।(সুনানু ইবনু মা'জা-১৮৬৫)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : (مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি কাউকে ধোকা দিবে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)
পাত্র-পাত্রী পরস্পর পরস্পরকে নিজেদের রোগব্যাধি সম্পর্কে অবগত করার মূলনীতি
(ক)যদি কোন রোগব্যাধি দ্বারা দাম্পত্যজীবনে সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে,তাহলে সে সজল রোগব্যাধি কে পারস্পারিক প্রকাশ করতে হবে।
(খ)যদি কোন রোগব্যাধি দ্বারা পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সেই রোগব্যাধি কে প্রকাশ করতে হবে।
(গ)চিরস্থায়ী কোনো জটিল-কঠিন রোগব্যাধি থাকলে সেটাও প্রকাশ করতে হবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরের হাদীসে পাত্রপাত্রী পরস্পর পরস্পরকে দেখে নেয়ার মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি ও তা অটুট থাকার কথা বর্ণিত হয়েছে।তাছাড়া অন্য হাদীসে ধোকা দেয়াকে হারাম ঘোষনা করা হয়েছে।এই দুনু হাদীসকে সামনে রেখে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌছতে পারব যে,যে সকল রোগব্যাধির কারণে দাম্পত্যজীবনে অশান্তি সৃষ্টির সম্ভাবানা থাকবে,সে সকল রোগব্যাধি সম্পর্কে পারস্পারিক অবগত করতে হবে নতুবা সেটা ধোকা হয়ে যাবে।তবে সাধারণত যে অসুস্থতা প্রায় সবারই থাকে,এবং যেগুলোর কারণে দাম্পত্যজীবনে অশান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।সে সকল রোগব্যাধি সম্পর্কে অবগত না করালে কোনো সমস্যা হবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.