আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
১.কাচা পেয়াজ, রসুন আরও কি কি খেলে ওজু ভেঙে যায় শুনেছি!  এটা কি সত্যি?  ওজু থাকাবস্থায় এগুলো খাওয়ার পর শুধু ওজু করে নিলেই কি হবে?? নাকি ব্রাশ করে তারপর ওজু করতে হবে?
২. ওয়াশরুমে উলঙ্গ থাকলে কিবলা দিকে ফেরা যাবে না যেহেতু,  সম্পুর্ন জামা কাপড় ছাড়া থাকাকেই কি উলঙ্গ বোঝায় নাকি জামা না পরে শুধু সালোয়ার পরা থাকলেও তা উলঙ্গ বোঝায়? যদি শুধু জামা পরে থাকা হয় আর সালোয়ার না পরে থাকে তাও কি উলঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে? অথবা কিছুই পরা নেই শুধু লজ্জাস্থান ঢাকা আছে বা সামনের লজ্জাস্থান ঢাকা শুধু পিছনের দিক পরিপূর্ণ ভাবে ঢাকা না তাও উলঙ্গ বুঝাবে?

৩. নাভির নিচে মেয়েরা সালোয়ার পরতে পারবে না, সেটা হারাম এটা কি সত্যি?  জামা দিয়ে এমনিতেই নাভি ঢাকা থাকে, এক্ষেত্রে সালোয়ার নাভির নিচে পরা থাকলে কি গুনাহ হবে?  নাভি ঢেকে রাখাই তো মুখ্য, সালোয়ার নাভির উপরে নিচে পরা তো হারাম না তাই না?

৪.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ক্যালেন্ডারে,১,৬,১২,১৮,২৪,৩০ তারিখের নামাজের সময় দেয়া! এর মাঝের তারিখের নামাজের সময় নেই কেনো? ১,২,৩,৪,৫,৬.... এমন সিরিয়াল অনুযায়ী সব তারিখের নামাজের সময় দেয়া থাকবে না?

৫. পশ্চিম দিকে কফ,থু থু ফেলতে হয় না যেহেতু,  বাইরে বা গাড়ি তে থাকলে বোঝা যায় না বা জানি না কোনটা পশ্চিম, তখন থু থু/ কফ ফেলার প্রয়োজন হলে কিভাবে কোন দিকে ফেলবো? শুধু কফ/ থু থু ফেলা যাবে না পশ্চিম দিকে নাকি যে কোনো পানি, ময়লাও ফেলা যাবে না? অর্থাৎ পানি বা ময়লা ফেলা যাবে কিনা?

জাযাকাল্লাহ খাইরান!

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দুর্গন্ধের সম্ভাবনায় কাচা পিয়াজ খেয়ে মসজিদে বা জনসম্মুখে যাওয়া মাকরুহে তানযিহি।পিয়াজ খাওয়ার দরুণ নামাযে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।অজুতেও কোনো সমস্যা হবে না। পিয়াজ খেলে ব্রাশ ইত্যাদি করে দুর্গন্ধ দূর করাই উত্তম।


(২)
কখনোই উলঙ্গ হওয়া উচিৎ নয়।কেননা সর্বদাই মানুষের সাথে ফিরিস্তা থাকেন।তাই উলঙ্গ না হওয়াই উচিত।উলঙ্গ হয়ে পশ্চিম দিকে মুখ করো দাড়ানোও উচিৎ নয়।হ্যা, প্রয়োজনে জায়েয রয়েছে। চায় সামান্য উলঙ্গ হোক বা সম্পূর্ণ-ই উলঙ্গ হোক,প্রয়োজনে জায়েয।প্রয়োজন ব্যতিত উলঙ্গ হওয়া কখনো জায়েয হবে না।

(৩)
সতর ঢেকে রাখাই মুখ্য বিষয়।সুতরাং জামা পড়নে থাকলে,নাভীর নীচেও মহিলারা পায়জামা পড়তে পারবে।

(৪)
জ্বী,সংক্ষেপিত হিসেবে এভাবেই দেয়া থাকে।নতুবা কলবর অনেক বড় যাবে।
দেখবেন যে,১ থেকে ৬ পর্যন্ত ৫ মিনিটের ব্যবধান থাকে, যেমন ধরেন,১তারিখ মাগরিবের নামায ৫:৫০ মিনিটে।এবং ৬ তারিখ মাগরিবের নামায ৫:৪৫ মিনিটে।তখন আপনার দায়িত্ব হল, ২ তারিখ আপনি ৫:৪৯ মিনিট ধরবেন,এবং ৩ তারিখ ৫:৪৮ মিনিট ধরবেন।এভাবেই আপনি নামাযের ওয়াক্তের  হিসাব ধরবেন।বিশেষ করে ফজরের শেষ ওয়াক্ত এবং মাগরিবের প্রথম ওয়াক্তের সময় এভাবে হিসাব করবেন।অথবা ক্যালেন্ডারে প্রদত্ত টাইম অনুযায়ীও আপনি নামাযের ওয়াক্তকে ধরে নিতে পারবেন।১মিনিট করে করে আগানোর বা পিছানোর কোনো কারণ নাই।

(৫)
অসম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্য পশ্চিম দিকে পা রাখা, থুথু নিক্ষেপ,কোনো কিছু নিক্ষেপ করা কুফুরী।
অপারগ অবস্থায় রাখা জায়েয।অনিচ্ছাকৃত হলে জায়েয।ইচ্ছাকৃত তবে অসম্মান প্রদর্শনের নিয়তে নয়, এমন হলে মাকরুহ।কেননা আমাদের সমাজে অসম্মানই গণ্য করা হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/470

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি গাড়িতে থাকার ধরুণ পশ্চিম দিক সম্পর্কে সম্মক অনুধাবন করা না যায়,তাহলে তখন আপনি মাঠির দিকে থুথু ফেলবেন। পশ্চিম দিকে ময়লা পানি ইত্যাদিকে না ফেলাই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...