ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) প্রথম কথা হল, মনে মনে কসম করলে কসম হয় না। দ্বিতীয় কথা হল, শরীয়তের কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিধান পালন করা ও তরক না করার উপর কসম করলে সেটা কসম হিসেবে পরিগণিত হয় না। সুতরাং আপনার কসম হবে না। এবং আপনাকে কাফফারাও দিতে হবে না। তবে বিনা প্রয়োজনে নিয়মিত ঘুমের অযুহাতে যোহরের নামাযকে কাযা করার দরুণ আপনার অবশ্যই গোনাহ হবে।
ومنها أن لا يكون المحلوف عليه واجباً في العقل والعادة، أو في العادة فقط، فإن كان كذلك فإن اليمين لا تنعقد بل تكون لغواً
[«الفقه على المذاهب الأربعة» (2/ 61)]
(২)
আপনার বর্ণনা অনুযায়ী আপনার নামাযে কিরাতের তাজবীদ আদায় হয়নি। তাজবীদ আদায় করে কিরাত পড়া মুস্তাহাব। তবে এজন্য আপনার নামায ফাসিদ হবে না। আপনি তাজবীদ সহকারে নামায পড়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
তাজবিদ এর অর্থঃ
তাজবিদের শাব্দিক অর্থ- সুন্দর্য্য।
পরিভাষায় তাজবীদ- সিফাত আদায় পূর্বক মাখরাজ হতে হরফের উচ্ছারণকে তাজবিদ বলে। (অর্থাৎ-পরিভাষায় তাজবিদ বলা হয়,মাখরাজ হতে হরফ সমূহের উচ্ছারণ ও চিকন-গাড় স্বরের সিফাত সমূহের আদায় করণ এবং কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি ব্যতীত আওয়াজকে লম্বা করে উচ্ছারণ করণ কে)
তাজবিদ বিষয়ে পূর্ণ পাণ্ডিত্য অর্জন করা ফরযে কেফায়াহ। তথা একশ্রেণী লোক তাজবিদের বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলে অবশিষ্ট উম্মতের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে।ব্যক্তিগত ভাবে তাজবিদের সাধারণ জ্ঞান শিক্ষা সম্পর্কে মুতা'আখখিরিন উলামায়ে কেরাম বলেন, তাজবিদের এমন পরিমাণ জ্ঞান যা আদায় না করিলে অর্থ পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়ে যেতে পারে, এমন জ্ঞান অর্জন করা ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যেকের উপর ওয়াজিব।আর এমন জ্ঞান যা আদায় না করলে আপাত দৃষ্টিতে অর্থের মধ্যে কোনো প্রকার সমস্যা করবে না, বরং যা তেলাওয়াতের সুন্দর্য্য-কে বৃদ্ধি করে,সেই পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেকের উপর মুস্তাহাব।