আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।

১,আমি আল্লাহর কাছে কসম করেছিলাম যে শরীয়তি ওজর ব্যতীত সালাত পরিত্যাগ করবনা,যুহরের সালাতে আমি ইচ্ছে করে ঘুমাই যাই,ভাবি ওয়াক্তের শেষের দিকে উঠে পড়ব,পরবর্তীতে ঘুম থেকে ওয়াক্ত বাদ উঠি। এক্ষেত্রে কি আমার কসম ভংগ হয়েছে? যেহেতু ঘুম শরীয়তি ওজর।কাফফারা কি তিন রোযা করব? উল্লেখ্য কসমটি আমি মনে মনে করেছিলাম তবে শক্ত নিয়াত ছিল,মানে ঠোট নাড়িয়ে শব্দ না করে তাওবা করার সময় করেছিলাম

২,মাঝেমাঝে নামাযে ইহদিনাস স্বির-ত্বল মুস্তাক্বিম বলার সময় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মুস্তা-ক্বিম উচ্চারণ হয়,অর্থাৎ তা এরপর এক আলিফ টান,তবে খেয়াল করে মনোযোগ দিলে সেটা অনেক সময় হয়না,আমার কি আবার সালাত পড়তে হবে? ফজর সালাতে হয়েছে এমন,একাকি পড়ছিলাম

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) প্রথম কথা হল, মনে মনে কসম করলে কসম হয় না। দ্বিতীয় কথা হল, শরীয়তের কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিধান পালন করা ও তরক না করার উপর কসম করলে সেটা কসম হিসেবে পরিগণিত হয় না। সুতরাং আপনার কসম হবে না। এবং আপনাকে কাফফারাও দিতে হবে না। তবে বিনা প্রয়োজনে নিয়মিত ঘুমের অযুহাতে যোহরের নামাযকে কাযা করার দরুণ আপনার অবশ্যই গোনাহ হবে। 
ومنها أن لا يكون المحلوف عليه واجباً في العقل والعادة، أو في العادة فقط، فإن كان كذلك فإن اليمين لا تنعقد بل تكون لغواً
[«الفقه على المذاهب الأربعة» (2/ 61)]
(২)
আপনার বর্ণনা অনুযায়ী আপনার নামাযে কিরাতের তাজবীদ আদায় হয়নি। তাজবীদ আদায় করে কিরাত পড়া মুস্তাহাব। তবে এজন্য আপনার নামায ফাসিদ হবে না। আপনি তাজবীদ সহকারে নামায পড়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। 
https://www.ifatwa.info/1126 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
তাজবিদ এর অর্থঃ
তাজবিদের শাব্দিক অর্থ- সুন্দর্য্য।
পরিভাষায় তাজবীদ- সিফাত আদায় পূর্বক মাখরাজ হতে হরফের উচ্ছারণকে তাজবিদ বলে। (অর্থাৎ-পরিভাষায় তাজবিদ বলা হয়,মাখরাজ হতে হরফ সমূহের উচ্ছারণ ও চিকন-গাড় স্বরের সিফাত সমূহের আদায় করণ এবং কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি ব্যতীত আওয়াজকে লম্বা করে উচ্ছারণ করণ কে)

তাজবিদ বিষয়ে পূর্ণ পাণ্ডিত্য অর্জন করা ফরযে কেফায়াহ। তথা একশ্রেণী লোক তাজবিদের বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলে অবশিষ্ট উম্মতের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে।ব্যক্তিগত ভাবে তাজবিদের সাধারণ জ্ঞান শিক্ষা সম্পর্কে মুতা'আখখিরিন উলামায়ে কেরাম বলেন, তাজবিদের এমন পরিমাণ জ্ঞান যা আদায় না করিলে অর্থ পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়ে যেতে পারে, এমন জ্ঞান অর্জন করা ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যেকের উপর ওয়াজিব।আর এমন জ্ঞান যা আদায় না করলে আপাত দৃষ্টিতে অর্থের মধ্যে কোনো প্রকার সমস্যা করবে না, বরং যা তেলাওয়াতের সুন্দর্য্য-কে বৃদ্ধি করে,সেই পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেকের উপর মুস্তাহাব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...