আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
429 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম,

প্রশ্ন: হাত তুলে কিংবা এমনেই পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন দোআ (যেমন: "রব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাকির" . ”রব্বির হাম হুমা কামা রব্বায়ানি সাগিরা") পড়ার সময়  কী আউযুবিল্লাহ পড়তে হবে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer


জবাবঃ-
আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ কুরআন তেলাওয়াতের সুন্নত।তাই যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করবে সেই আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়বে।আরো জানুন-১৩০০
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ فَاسْتَعِذْ بِاللّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
অতএব, যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করুন।(সূরা নাহল-৯৮)
যখন কেউ সূরার প্রথম অংশ থেকে তেলাওয়াত করবে,তার জন্য আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ উভয়টিই পড়া সুন্নত।আর যখন কেউ সূরার মধ্যখান থেকে পড়বে, তখন তার জন্য শুধুমাত্র আউযু বিল্লাহ পড়া সুন্নত।তবে বিসমিল্লাহ্ পড়ে নিলেও কোনো অসুবিধে নেই।
কুরআনের কারীমের কোনো এক বা দুই আয়াত দলীল প্রমাণ বা দু'আ হিসেবে পড়ার সময়ে আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ পড়া শরয়ীভাবে প্রমাণিত নয়।তবে ঐ আয়াতের পূর্বে এটা বলা যেতে পারে যে,'আল্লাহ বলেছেন' যাতেকরে মানুষের কালাম থেকে আল্লাহর কালাম পৃথক হয়ে যায়।
এ সংশ্লিষ্ট কিছু হাদীস উল্লেখযোগ্য।

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قال : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( قِيلَ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ : ( ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَقُولُوا حِطَّةٌ يُغْفَرْ لَكُمْ خَطَايَاكُمْ ) فَبَدَّلُوا ، فَدَخَلُوا الْبَابَ يَزْحَفُونَ عَلَى أَسْتَاهِهِمْ ، وَقَالُوا : حَبَّةٌ فِي شَعَرَةٍ )
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাঈলকে আদেশ দেয়া হয়েছিল, ‘‘তোমরা দরজা দিয়ে অবনত মস্তকে প্রবেশ কর আর মুখে বল, ‘হিত্তাতুন’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দাও।)’’ (আল-বাকারাহঃ ৫৮) কিন্তু তারা এ শব্দটি পরিবর্তন করে ফেলল এবং প্রবেশ দ্বারে যেন নতজানু হতে না হয় সে জন্য তারা নিজ নিজ নিতম্বের ওপর ভর দিয়ে শহরে প্রবেশ করল আর মুখে বলল, ‘হাববাতুন্ ফী শা‘আরাতিন’’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আমাদেরকে যবের দানা দাও।
(সহীহ বোখারী-৩৪০৩,সহীহ মুসলিম-৩০১৫)


হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : " كَانَ أَهْلُ الكِتَابِ يَقْرَءُونَ التَّوْرَاةَ بِالعِبْرَانِيَّةِ ، وَيُفَسِّرُونَهَا بِالعَرَبِيَّةِ لِأَهْلِ الإِسْلاَمِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( لا تُصَدِّقُوا أَهْلَ الكِتَابِ وَلا تُكَذِّبُوهُمْ، وَقُولُوا: (آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا) الآيَةَ .
তিনি বলেন, আহলে কিতাব (ইয়াহূদী) ইবরানী ভাষায় তাওরাত পাঠ করে মুসলিমদের কাছে তা আরবী ভাষায় ব্যাখ্যা করত। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আহলে কিতাবকে বিশ্বাসও কর না আর অবিশ্বাসও কর না এবং (আল্লাহর বাণী) ‘‘তোমরা বল, আমরা আল্লাহ্তে ঈমান এনেছি এবং যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে . . . .’’- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৩৬)।
(সহীহ বোখারী-৪৪৮৫)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( يَجِيءُ نُوحٌ وَأُمَّتُهُ ، فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى ، هَلْ بَلَّغْتَ ؟ فَيَقُولُ نَعَمْ أَيْ رَبِّ ، فَيَقُولُ لِأُمَّتِهِ : هَلْ بَلَّغَكُمْ ؟ فَيَقُولُونَ لاَ ، مَا جَاءَنَا مِنْ نَبِيٍّ ، فَيَقُولُ لِنُوحٍ : مَنْ يَشْهَدُ لَكَ؟ فَيَقُولُ : مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمَّتُهُ ، فَنَشْهَدُ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ ، وَهُوَ قَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ : ( وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ ) وَالوَسَطُ العَدْلُ .
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (কিয়ামতের দিন) নূহ এবং তাঁর উম্মাত (আল্লাহর নিকটে) হাযির হবেন। তখন আল্লাহ তাঁকে জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি (আমার বাণী) পৌঁছিয়েছ? তিনি বলবেন, হ্যাঁ, হে আমার রব! তখন আল্লাহ তাঁর উম্মাতকে জিজ্ঞেস করবেন, নূহ কি তোমাদের নিকট আমার বাণী পৌঁছিয়েছেন। তারা বলবে, না, আমাদের নিকট কোন নাবীই আসেননি। তখন আল্লাহ নূহকে বলবেন, তোমার জন্য সাক্ষ্য দিবে কে? তিনি বলবেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর উম্মাত। [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন] তখন আমরা সাক্ষ্য দিব। নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়েছেন। আর এটিই হল মহান আল্লাহর বাণীঃ আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যমপন্থী উম্মাত করেছি, যেন তোমরা মানব জাতির উপর সাক্ষী হও- (আল-বাকারাহঃ ১৪৩)। الوسط অর্থ ন্যায়পরায়ণ।(সহীহ বোখারী-৩৩৩৯)

হযরত আছিম রাহ থেকে বর্ণিত
عن عَاصِم قَالَ: قُلْتُ لِأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَكُنْتُمْ تَكْرَهُونَ السَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ قَالَ : " نَعَمْ لِأَنَّهَا كَانَتْ مِنْ شَعَائِرِ الجَاهِلِيَّةِ ، حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ : ( إِنَّ الصَّفَا وَالمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ البَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا )
‘ তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বললাম, আপনারা কি সাফা ও মারওয়া সা‘ঈ করতে অপছন্দ করতেন? তিনি বললেন, হাঁ। কেননা তা ছিল জাহিলী যুগের নিদর্শন। অবশেষে মহান আল্লাহ অবতীর্ণ করেনঃ ‘‘নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন। কাজেই হাজ্জ বা ‘উমরাহকারীদের জন্য এ দুইয়ের মধ্যে সা‘ঈ করায় কোন দোষ নেই’’- (আল-বাকারাঃ ১৫৮)। (সহীহ বোখারী-১৬৪৮,সহীহ মুসলিম-১২৭৮)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : قَالَ اللَّهُ ( أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ ، وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ ، وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ ) فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ : ( فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ ) .
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার নেককার বান্দাদের জন্য এমন জিনিস তৈরি করে রেখেছি, যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার, ‘‘কেউ জানে না, তাদের জন্য তাদের চোখ শীতলকারী কী জিনিস লুকানো আছে’’- (আসসাজদাহঃ ১৩)(সহীহ বোখারী-৩২৪৪,সহীহ মুসলিম-২৮২৪)

হযরত সাহল ইবনে সা'দ রাযি থেকে বর্ণিত
عن سَهْل بْن سَعْدٍ قال: " شَهِدْتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَجْلِسًا وَصَفَ فِيهِ الْجَنَّةَ حَتَّى انْتَهَى ، ثُمَّ قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ حَدِيثِهِ : (فِيهَا مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ ، وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ ، وَلَا خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ) ثُمَّ اقْتَرَأَ هَذِهِ الْآيَةَ : ( تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ ، فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ) ".
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। তিনি জান্নাতের গুণকীর্তন করে শেষ অবধি বললেন, এতে এমন সব নি’আমাত রয়েছে যা কোন চক্ষু কক্ষনো দেখেনি, কোন কান কক্ষনো শোনেনি এবং কোন অন্তঃকরণ কক্ষনো কল্পনাও করেনি। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পাঠ করলেন "তারা শয্যা ত্যাগ করতঃ তাদের প্রতিপালককে ডাকে, আশায় ও আশংকায় এবং তাদেরকে যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন মনোমুগ্ধকর কী লুক্কায়িত রাখা হয়েছে তাদের কর্মফল স্বরূপ"- (সূরা আস্ সাজদাহ ৩২ঃ ১৬-১৭)। (সহীহ মুসলিম-২৮২৫)

হযরত মু'আয ইবনে জাবাল রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ، قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي عَنِ النَّارِ، قَالَ : (لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ عَظِيمٍ ، وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ : تَعْبُدُ اللَّهَ وَلَا تُشْرِكْ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَتَصُومُ رَمَضَانَ، وَتَحُجُّ البَيْتَ) ثُمَّ قَالَ: ( أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الخَيْرِ: الصَّوْمُ جُنَّةٌ، وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ المَاءُ النَّارَ، وَصَلَاةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ ) قَالَ : ثُمَّ تَلَا (تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ المَضَاجِعِ) ، حَتَّى بَلَغَ (يَعْمَلُونَ).
তিনি বলেন,একদিন যেতে যেতে আমি তার নিকটবর্তী হলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি কাজ সম্পর্কে আমাকে জানিয়ে দিন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নাম হতে দূরে রাখবে। তিনি বললেনঃ তুমি তো আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন করেছো। তবে সেই ব্যক্তির জন্য এ ব্যাপারটা অতি সহজ যে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তা'আলা তা সহজ করে দেন।তুমি আল্লাহ তা'আলার ইবাদাত করবে, কোন কিছুকে তার সাথে শরীক করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, রামাযানের রোযা রাখবে এবং বাইতুল্লাহর হাজ্জ করবে। তিনি আরো বললেনঃ আমি কি তোমাকে কল্যাণের দরজাসমূহ সম্পর্কে বলে দিব না? রোযা হলো ঢালস্বরূপ, দান-খাইরাত গুনাহসমূহ বিলীন করে দেয়, যেমনিভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয় এবং কোন ব্যক্তির মধ্যরাতের নামায আদায় করা। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ “তাদের দেহপাশ বিছানা থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং তারা তাদের প্রভুকে ডাকে আশায় ও ভয়ে এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর কি লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ " (সূরা আস-সাজদাহ ১৬, ১৭)(সুনানু তিরমিযি-২৬১৬)


ইমাম সুয়ূতি রাহ বলেন,
" الصواب الاقتصار على إيراد الآية من غير استعاذة ، اتباعا للوارد في ذلك ، فإن الباب باب اتباع ، والاستعاذة المأمور بها في قوله تعالى : ( فإذا قرأت القرآن فاستعذ بالله ) : إنما هي عند قراءة القرآن للتلاوة ، أما إيراد آية منه للاحتجاج والاستدلال على حكم : فلا "
বিশুদ্ধ হলো,বিশেষ কোনো দলীলপ্রমাণ হিসেবে এক-দু আয়াত উপস্থাপন করার মুহূর্তে আউযু বিল্লাহ ব্যতীত উপস্থাপন করা।কেননা হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ উল্লেখ করেন নি।আর ইসলাম হলো কুরআন- সুন্নাহ এর অনুসরণের নাম।কুরআনে কারীমে যেখানে আউযুবিল্লাহর কথা বলা হয়েছে,সেখানে মূলত তেলাওয়াতের সময় আউযু বিল্লাহ পড়ার কথা বলা হয়েছে।সুতরাং দলীল প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপনের সময় পড়ার নির্দেশ তাতে দেয়া হয়নি।
(আল-হাবী-১/৩৫৩)

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনের যে সমস্ত আয়াতে দু'আর অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।সে সমস্ত আয়াতকে দু'আর নিয়তে হায়েয-নেফাস বিশিষ্ট মহিলার জন্য পড়া জায়েয।অথচ তখন তাদের জন্য কুরআন তেলাওয়াত অনুমোদিত নয়।কিন্তু দু'আ হিসেবে তারা পড়তে পারে।সুতরাং বুঝাগেল তেলাওয়াত এক জিনিষ আর দু'আ নিয়তে কুরআনের কোনো আয়াত পড়া ভিন্ন জিনিষ।তাই আমরা বলতে পারি যেভাবে কুরআনের আয়াত দ্বারা দলীল প্রমাণ পেশ করার সময়ে আউযুবিল্লাহ পড়ার নিয়ম নেই ঠিকসেভাবে দু'আর নিয়তে কুরআনের এক দু আয়াত পড়ার সময়েও আউযুবিল্লাহ পড়ার কোনো নিয়ম নেই।তবে কেউ পড়ে নিলে সেটা নিষিদ্ধ বা মাকরুহ হবে না।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

 

উত্তর  লিখনে

`````````````````

মুফতী  ইমদাদুল  হক

ইফতা বিভাগ, IOM.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 189 views
...