জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
কসম মুখের কাজ। শুধু মনের কাজ নয়। তাই কেউ কোনো কিছুর ইচ্ছা করে মুখে উচ্চারণ করার আগ পর্যন্ত কসম সংঘটিত হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي عَمَّا لَمْ تَتَكَلَّمْ بِهِ، أَوْ تَعْمَلْ بِهِ، وَبِمَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মাতের মনে যা উদয় হয় তা যতক্ষণ না সে মুখে বলে অথবা কার্যে পরিণত করে ততক্ষণ তা উপেক্ষা করেন।
(আবু দাউদ ২২০৯)
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ عَنْ مِسْعَرٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ
উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয় বা খটকা লাগে, আল্লাহ্ তাআলা তা ক্ষমা করে দেবেন, যতক্ষণ না সে তা করে অথবা বলে।
(নাসায়ী শরিফ ৩৪৩৮)
কসম বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো, ‘আল্লাহ’ নাম নিয়ে বা তাঁর গুণবাচক নাম নিয়ে কসম করা। আল্লাহর ইজ্জতের কসম, আল্লাহর মর্যাদার কসম—এজাতীয় শব্দ দ্বারা কসম করা যেতে পারে। কিন্তু আল্লাহর ইলমের কসম, আল্লাহর রাগের কসম, আল্লাহর রহমতের কসম—এজাতীয় কসম শুদ্ধ নয়।
যদি কেউ কোরআনের কসম খায়, তাহলে সেটা কসম বলে বিবেচিত হবে। যদি এইভাবে বলে যে কোরআনের কসম, কালামুল্লাহ কসম অথবা কোরআনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলল, এই কোরআনে যে আল্লাহর কালাম আছে তার কসম, তাহলে কসম হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৫/৪৮৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই কসম হয়নি।
তাই উভয় ছুরত কসম ভঙ্গের শামিল হবেনা।