আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ ।
আমি একজন অবিবাহিতা,,শিক্ষার্থী ।রোজগার করিনা।তবে বৃত্তির টাকা পাই।কিন্তু এখনো টাকা হাতে আসেনি।আমার খরচ আমার বাবা চালান।
দ্বীনের বুঝ পাওয়ার আগে,,বয়স ১০/১১ হবে,,, (আমি তখন সাবালিকা ছিলাম,,আমি তীব্র ধারণা করি ) ভাইয়ের কাছে আল্লাহর নামে কসম করে মিথ্যে বলেছিলাম।আমি জানতাম মিথ্যা কসম করা উচিৎ না,,গুনাহ,,, কিন্তু এই মিথ্যা কসমের ভয়াবহতা জানতাম না।সত্য কথা,,আমি জানতাম না।এখন আমার বয়স ২০+।আল্লাহর দয়ায়,দেড় বছর এর চেয়ে কম সময় হলো দ্বীনের সামান্য জ্ঞান লাভ করেছি।
১)আমি কি আমার এর ভয়াবহতা না বুঝে কৃত মিথ্যা কসম এর জন্য জাহান্নামি হয়ে যাবো?
দুয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করেন।
বয়ঃসন্ধিকালের শুরুর দিকে একজন বড় ভাইকে পছন্দ ছিল।ফোনে কথা হত।আমার তখন নিজস্ব ফোন ছিল না।তার সাথে কথা বলার জন্য আমি ফোন লুকায় নেওয়ার চেষ্টা করতাম।আমার এখন মনে হচ্ছে যে,,,আমি হয়ত মান্নত করেছিলাম,,ভাইয়ার সাথে কথা বলার জন্য যদি *সেদিন* ফোন হাতে পাই তাহলে এত রাকাত নামাজ পড়ব।কিন্তু আমার মনে নেই যে,,###আমি মুখে মান্নত এর কথাগুলো উচ্চারণ করেছিলাম কি না,###করলে ঠিক কতবার মান্নত করেছিলাম###একটিও মান্নত পূরন হয়েছিল কি না###কত রাকাত নামাজ।
২)এই মান্নত করার জন্য কি কোনো প্রকার কাফফারা আদায় করতে হবে?
৩)যদি ধরে নেই,,মান্নত পূরন হয়েছে তাহলে কি কাফফারা দিতে হবে?
৪)নামাজগুলো কি আদায় করতে হবে?করতে হলে কিভাবে করব?
৪)তওবা করতে হবে কি?
দ্বীনের সামান্য বুঝ পাওয়ার পর একটি পাপ ছাড়ার জন্য তওবা করার সময়,,,দুয়ায় বলেছিলাম,"হে আল্লাহ, আমি প্রমিজ করছি অমুক কাজটি আর করব না।" বা,প্রায় এরকম অন্য বাক্য।কিন্তু আমি সে সময় জানতাম না,,এটি শপথ এ পরিণত হয়ে গেছে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করায়।
পরে এ শপথ আমি রাখতে পারিনি,,ভেঙে ফেলেছিলাম এবং গুনাহ টি কয়বার করেছি স্মরণ নেই।আবারও ওয়াদা করে শপথ নিয়ে ফেলেছিলাম,,,একই ওয়াদা বা অন্য ওয়াদা।সেবার ও জানতাম না সেটা শপথ হয়ে গিয়েছিল।এবং পরবর্তীতে তা নিজ দোষ এ আবারও ভেঙে ফেলেছিলাম।
আমার মনে নেই ,,,কতবার আমি শপথ করেছি এভাবে এবং ভেঙে কয়বার গুনাহটি করেছি।তবে,,,আনুমানিক ধারণা,,আমি এরকম শপথ এর বাক্য দুইবার উচ্চারণ করেছি ইন শা আল্লাহ এবং প্রথমবার ভেংগে একবার,,,,আবার দ্বিতীয়বারে ছয়বার হতে পারে।
৫)আমি পড়াশুনা করছি,,ছাত্রী।আপাতত কোনো কামাই নেই।তবে বৃত্তির টাকা পাই কিন্তু আপাতত হাতে টাকা নেই।আমার কি কাফফারার জন্য বাবার কাছে টাকা চাইতে হবে যেহেতু বাবা ভরনপোষণ চালনা করেন?আমি ভয় পাচ্ছি,,টাকা চাইতে কারন এর পরিমান অনেক যদিও বাবার দেওয়ার সামর্থ্য ইন শা আল্লাহ আছে।
৬)আমি কি কিছুসময় বিলম্ব করতে পারব?হয়ত,আমি টাকার ব্যবস্থা করতে পারব ইন শা আল্লাহ।
৭)নাকি,রোজা দিতে পারবো?যদি দিতে পারি তাহলে কি ২১ টা রোজা টানা করতে হবে?যদি পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়?
৮)যদি বিলম্ব করি,,তাহলে কি কাফফারা কবুল হবেনা?আমার সামনে ভর্তি পরীক্ষা।যদি পরীক্ষার আগে রোজা শেষ করতে না পারি তখন কি পরীক্ষার সময়টা বিলম্ব করতে পারব?
৯)কাফফারা না দেওয়া পর্যন্ত কি তওবা কবুল হবেনা?এই দুটো কি একসাথে?আমি তওবা করার চেষ্টা করেছি।যেহেতু কাফফারা দেইনি,,,এর জন্য কি এখনো তওবা হয়নি?
১০)কাফফারার ব্যাপার এ জানতে,,,দ্বিধা দ্বন্দ,, পরিস্থিতি ইত্যাদি কারনে কাফফারা দিতে দেরি করার জন্য কি গুনাহ হবে? আবার তওবা করতে হবে?
১১)কাফফারা দেওয়ার পর যদি শপথ না নেই এবং পাপ কাজটি পূনরায় ঘটে,,,তখনো কি কাফফারা আদায় করতে হবে?
সব প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুব প্রয়োজন। আল্লাহ যেন আপনাদের নেক কাজ কবুল করেন। জাঝাকুমুল্লহু খইরন।