আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَلِلَّـهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ فَادْعُوهُ بِهَا ۖ وَذَرُوا الَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِي أَسْمَائِهِ ۚ سَيُجْزَوْنَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
“আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে সব নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে।” (সূরা আরাফ: ১৮০)
তিনি আরও বলেন:
قُلِ ادْعُوا اللَّهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمَنَ أَيًّا مَا تَدْعُوا فَلَهُ الأسْمَاءُ الْحُسْنَى
“তুমি বল, তোমরা আল্লাহ নামে ডাক কিংবা রহমান নামে ডাক, যে নামেই তোমরা ডাক না কেন, তাঁর জন্যই রয়েছে উত্তম নামসমূহ। (সূরা ইসরা: ১১০)
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ ، أَوْ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ
“আমি আপনার সেই সকল নাম ধরে প্রার্থনা করছি, যে নামগুলো আপনি নিজেই নিজের জন্য নির্ধারণ করেছেন। অথবা সৃষ্ট জগতের কাউকে শিক্ষা দিয়েছেন, অথবা আপনার কিতাবে নাজিল করেছেন অথবা আপনার নিজের কাছেই ইলমে গায়ব (অদৃশ্য জ্ঞান)এ সংরক্ষিত রেখে দিয়েছেন।” (মুসনাদ আহমদ, হা/৩৭০৪)
আবু হুরায়রা রা., হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً إِلا وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ
“আল্লাহর এমন নিরানব্বইটি-এক কম একশটি নাম-রয়েছে, যে ব্যক্তি সেগুলো সংরক্ষণ করবে (তথা মুখস্থ করার পাশাপাশি সেগুলো বুঝে আমল করবে) সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (বুখারি ও মুসলিম)
ঈশ্বর: (এর স্ত্রী লিঙ্গ ঈশ্বরী)। খৃষ্টানরা যিশুখ্রিস্ট (ঈসা আলাইহিস সালাম) কে ঈশ্বর বলে।
গড: (এর বহু বচন গডেজ) খৃষ্টানরা যিশুখ্রিস্ট (ঈসা আলাইহিস সালাম) কে গড বলে।
গড, ঈশ্বর খোদা ইত্যাদি শব্দ পরিত্যাগ করাই ভালো।
তবে অমুসলিমকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে বা কাউকে বুঝানোর প্রয়োজনে খোদা, গড, ঈশ্বর ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে সর্বাবস্থায় উত্তম হল আল্লাহকে কোরআন-হাদীসের ভাষায় স্বরণ করা।
আরো জানুনঃ