আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,074 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
সাপোজ আমি যদি কাউকে দেড় লক্ষ টাকা ধার দেই,সে সেটা ব্যবসায়ীক কাজে বা অন্যান্য কাজে(হালাল কাজে) খাটিয়ে আমাকে বছরান্তে ধান দেয়,সেটা কি সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে??টাকা কিন্তু তার কাছে থাকবেই।।আমাদের এলাকায় এমন প্রথা আছে যেটাকে ধানের উপর কন্টাক্ট দেওয়া বলে।।এটা কি ইসলামে জায়েজ আছে??অনেক জানামতে ঈমানওয়ালা লোকজনও এমন লেনদেন করে।।আমি জানতে চাচ্ছি এরকম কোনো নিয়ম বা পন্থা হাদীসে আছে কিনা?বা কতটুকু সহীহ,কিংবা আমি যদি কাউকে মোটা অংকের টাকা ধার দেই সেক্ষেত্রে তার কাছ থেকে (সে যদি সেচ্ছায় দেয়)কিছু নিতে পারবো কিনা।।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিকে ধার দেওয়া নয় বরং ধানের আগাম খরিদ বলা হয়।
এটি জায়েজ আছে,তবে কিছু শর্তের ভিত্তিতে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا صَدَقَةُ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَثِيرٍ عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَهُمْ يُسْلِفُونَ بِالتَّمْرِ السَّنَتَيْنِ وَالثَّلاَثَ فَقَالَ مَنْ أَسْلَفَ فِي شَيْءٍ فَفِي كَيْلٍ مَعْلُومٍ وَوَزْنٍ مَعْلُومٍ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ وَقَالَ فَليُسْلِفْ فِي كَيْلٍ مَعْلُومٍ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ 

ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদ্বীনায় আসেন তখন মদ্বীনাবাসী ফলে দু’ ও তিন বছরের মেয়াদে সলম করত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন ব্যক্তি সলম করলে সে যেন নির্দিষ্ট মাপে এবং নির্দিষ্ট ওজনে নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম করে। (২২৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০৯৯)

আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ.) ....... ইবনু আবূ নাজীহ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে যেন নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম করে। (বুখারী ২২৪০.আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১০০)

★ ধানের আগাম খরিদ জায়েয। তবে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্তাবলির প্রতি লক্ষ রেখে লেনদেন করতে হবে :

১. ধান প্রদানের সময় ও স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
২. ধানের প্রকার ও পরিমাণ নির্দিষ্ট করতে হবে।
৩. কোন বিশেষ ক্ষেতের ধান দেওয়ার শর্ত করা যাবে না।
৪. ধানের মূল্য পুরোটা অগ্রিম আদায় করে দিতে হবে।
৫. মেয়াদান্তে ক্রেতাকে ধানই গ্রহণ করতে হবে।
বিক্রেতা যদি ধান দিতে না পারে তবে ক্রেতা কেবল তার আদায়কৃত টাকাই গ্রহণ করতে পারবে। কম-বেশি করা যাবে না। 
(ফাতহুল কাদীর ৬/২১-২৩০; রদ্দুল মুহতার ৫/২১৪, ২১৮; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৩৯২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...