জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যে কোন “লাহনে জলীর” দ্বারা নামায ভঙ্গ হয়না, বরং অর্থের আমুল পরিবর্তন হলে নামায ভঙ্গ হয়। প্রশ্নে বর্ণিত শব্দটির উল্লিখিত উচ্চারণে নিঃসন্দেহে পবিত্র কোরআনের উচ্চারণ বিকৃত হয়েছে, তবে যেহেতু অর্থের আমুল পরিবর্তন হয় নাই তাই নামায হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে অর্থ দাড়ায়ঃ আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাহলে কেন তোমরা বিশ্বাস করছনা?
এখানে তাদের দ্বারা মানব ব্যাতিত অন্যান্য মাখলুকাত উদ্দেশ্য নেওয়া যাবে।
.
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 632):
"ولو زاد كلمةً أو نقص كلمةً أو نقص حرفاً، أو قدمه أو بدله بآخر نحو من ثمره إذا أثمر واستحصد - تعالى جد ربنا - انفرجت بدل - انفجرت - إياب بدل - أواب - لم تفسد ما لم يتغير المعنى إلا ما يشق تمييزه كالضاد والظاء فأكثرهم لم يفسدها.
সারমর্মঃ
কেহ যদি কোনো বাক্য বাড়ায়,বা কমিয়ে দেয়,কোনো হরফ কমিয়ে দেয়,অথবা আগেই উচ্চারণ করে,বা অন্য হরফ দ্বারা পরিবর্তন করে,,,,যদি অর্থ পুরোপুরি পরিবর্তন না হয়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হবেনা।,,,