ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এখন প্রশ্ন হতে পারে তাহলে কি মেয়েরা নিজঘরে জুমু'আর নামায পড়তে পারবে? উত্তরঃ না,পারবে না।
মহিলারা ঘরে জুমু'আর নামায পড়তে পারবে না,পুরুষ হোক বা মহিলা হোক কেউ ঘরে জুমু'আর নামায পড়তে পারবে না।
لِأَنَّهَا لَا تَصِحُّ إِلَّا بِجَمَاعَةٍ مَخْصُوصَةٍ بِالْإِجْمَاع
অর্থাৎ-সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত যে, জুমু'আর নামায "বিশেষ জামাত"অর্থাৎ মসজিদ ব্যতীত শুদ্ধ হয় না।
সুতরাং কোন মহিলা বা পুরুষ যদি ঘরের মধ্যে জুমু'আহ পড়ে নেয়,তাহলে তাকে আবার জোহরের নামায পড়তে হবে।
সর্বাবস্থায় মহিলার জন্য উত্তম হল ঘরের মধ্যে নামায পড়া,কেননা নবী কারীম সাঃ বলেন
( ﻻ ﺗﻤﻨﻌﻮﺍ ﻧﺴﺎﺀﻛﻢ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ ، ﻭﺑﻴﻮﺗﻬﻦ ﺧﻴﺮ ﻟﻬﻦ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( 567 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ .
তোমরা মহিলাদিগকে মসজিদ থেকে বাধা প্রদান করবেনা এবং ঘর-ই হল তাদের জন্য ইবাদতের উত্তম স্থান।(আবু-দাউদ,৫৬৭)
মহিলাদের উপর জুমু'আহ ওয়াজিব না হওয়ার হেকমত হল,শরীয়ত মহিলাদিগকে পুরুষদের মিলনক্ষেত্রে যোগ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেননা তার পরিনতি কখনো শুভকর হয় না,যেমন আজকের রঙ্গিন দুনিয়ায় পুরুষ-মহিলাদের সমবিচরণে সেই সমস্ত অশুভ বিষয়সমূহ-কে প্রতিনিয়ত আমরা পত্যক্ষ্য করছি ।এ জন্য ফিতনার আশংকা থাকায় মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়াকে ফুকাহায়ে কেরাম মাকরুহে তাহরিমী বলেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/5331
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহিলাদের জন্য জুমুআহ এবং ঈদের নামাযের জন্য মসজিদ বা ঈদগাহে যাওয়া এবং তাতে অংশগ্রহণ করা মাকরুহ তাহরিমী। প্রায় হারামের কাছাকাছি। পরপর তিন জুমার নামাজ বাদ দেওয়ার পরিণাম ভয়াবহ। এটা পুরুষের বেলায়, নারীদের বেলায় প্রযোজন্য নয়।