ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يا ايها النبى قل لازواجك وبناتك ونساء المؤمنين ...
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব : ৫৯)
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন মাথার উপর থেকে ওড়না/চাদর টেনে স্বীয় মুখমন্ডল আবৃত করে। আর (চলাফেরার সুবিধার্থে) শুধু এক চোখ খোলা রাখে। (ফাতহুল বারী ৮/৫৪)
ইবনে সীরিন বলেন, আমি (বিখ্যাত তাবেয়ী) আবীদা (সালমানী রাহ.)কে উক্ত আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, কাপড় দ্বারা মাথা ও চেহারা আবৃত করবে এবং এক চোখ খোলা রাখবে।
উপরোক্ত আয়াতে পরপুরুষ আর গায়রে মাহরাম সবাই শামিল।
পরপুরুষ আর গায়রে মাহরাম পুরুষ পর্দার ক্ষেত্রে প্রায় সবাই বরাবর ও সমান। এমনকি গায়রে মাহরাম আত্মীয়র সাথে ফিতনার আশংকা অত্যন্ত প্রবল।সুতরাং গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে অন্যান্যর তুলনায় উত্তমরূপে পর্দা করা জরুরী। কেননা আত্মীয়তার সুবাদে শয়তান এখানে তার কর্মকান্ন্ড চালাতে বেশ সুযোগ পায়।
গায়রে পুরুষের সাথে কথা বলা ও নেকাব পড়া ব্যতীত তাদের সামন দিয়ে যাতায়ত সবই হারাম। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী উক্ত মহিলাদের পর্দা প্রথা ও পদ্ধতি কখনো ইসলামিক হতে পারে না। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/572
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অনলাইনে পুরুষ শিক্ষকের সামনে যাওয়ার সময় পূর্ণ পর্দার দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। নিকাব ছাড়া পুরুষ শিক্ষকের সামনে যাওয়া যাবে না।