বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
উত্তর-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহির ওয়া সাল্লামের নামে কুরবানী দেয়া খুবই সওয়াব ও বরকতের ব্যাপার। এমন তাওফীত প্রাপ্ত হওয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত। সামর্থ্য থাকলে তার পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া উত্তম। নবীজী প্রতি বছর উম্মতের পক্ষ থেকে কুরবানী দিতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَنَشٍ، قَالَ : رَأَيْتُ عَلِيًّا يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ : مَا هَذَا؟ فَقَالَ : إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَانِي أَنْ أُضَحِّيَ عَنْهُ فَأَنَا أُضَحِّي عَنْهُ
হযরত হানশ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রাঃ কে দেখলাম তিনি দু’টি বকরী কুরবানী করলেন। আমি তাকে বললাম, এটি কি? [আপনার উপরতো একটি আবশ্যক ছিল কিন্তু আপনি দু’টি করলেন কেন?] তিনি বললেন, নিশ্চয় রাসূল সাঃ আমাকে অসিয়ত করেছেন তার পক্ষ থেকে কুরবানী করতে। এ কারণে আমি তার পক্ষ থেকে কুরবানী করছি। (আবু দাউদ, হাদীস নং-২৭৯০, সুনানে তিরমিজী : ১/২৭৫, ইলাউস সুনান : ১৭/২৬৮)
মৃত বা জীবিত উভয় ধরনের ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকা করার চেয়ে কুরবানী করা উত্তম। কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহির ওয়া সাল্লাম সকলের পক্ষ থেকে নিজে কুরবানী করেছেন। যদি সদকা করাই অধিক উত্তম হত তাহলে তিনি তা-ই করতেন। (মুসনাদে আহমদ : ১/১০৭, উলাউস সুনান : ১৭/২৬৮, রদ্দুল মুহতার : ৬/৩২৬)
উত্তর প্রদান
মুফতী মুহাম্মাদ মাহবুবুল হাসান
ফাতওয়া বিভাগ, IOM