অবিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ে বিয়ে , ওজু ভাঙ্গের কারণ , হাদিসে ব্যাখ্যা , ছবি যুক্ত কাপড়

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

আমার এক বন্ধুর কিছু প্রশ্ন ( সে নির্দিষ্ট মাজহাব মানে না , যদি মাজহাবের পক্ষে দলিল পায় তাহলে মানে )

১)
হাদিসে আছে - অবিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ে বিয়ে করলে তার বিয়ে - বাতিল,বাতিল,বাতিল ।
এখন তার প্রশ্ন ইমাম আবু হানিফা অনুমতি ছাড়া মেয়ের বিয়ে নিয়ে মত দিলেন তার পক্ষে দলিল কি ? ওনার ফাতুয়া মেনে, মেয়ে অনুমতি ছাড়া বিবাহ জায়েজ মনে করে তো অনেকে জিনায় লিপ্ত হতে পারেন।
ইমামের মতের পক্ষে যদি কোন দলিল না থাকে তাহলে কি আমাদের ওনার কথা ত্যাগ করা উচিত না ? যেখানে নবীজি স্পষ্ট বলেছেন - অবিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ে বিয়ে করলে তার বিয়ে - বাতিল,বাতিল,বাতিল ।
২)
মেয়েদের হায়েজের রাস্তা দিয়ে বাতাস বের হলে কি ওজু ভাঙ্গে ?
যদি না ভাঙ্গে তাহলে কেন ? দলিল কি ? কেননা ওজু ভাঙ্গার একটা কারণ বলা হয় পস্রাব পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া ।
৩)
এই হাদিসে ব্যাখ্যা কি ? অনেক বলে ৪ দাগ দিয়ে ৪ মাজহাব বুজিয়েছে
.
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি একটি সরল রেখা টানলেন এবং তাঁর ডান দিকে দুটি সরল রেখা টানলেন এবং বাম দিকেও দুটি সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী রেখার উপর তাঁর হাত রেখে বলেনঃ এটা আল্লাহ্‌র রাস্তা। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) এবং এ পথই আমার সরল পথ। অতএব তোমরা এ পথেরই অনুসরণ করো এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, অন্যথায় তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। (সূরাহ আনআম ৬ : ১৫৩)
[ সুনান ইবনু মাজাহ ১১ ]
.
.
আমার প্রশ্ন -
.
১)
আমার টি শার্টে এই (https://drive.google.com/file/d/1gaBaAKEbKC-l2NUfyai1RwDIRLboOQa1/view?usp=sharing ) ছবি আছে , এটা কি সেই ছবির অন্তর্ভুক্ত যেগুলোর কারণে রহমতের ফিরিস্তা আসে না ? নাকি এর জন্য নাক , মুখ , চোখ বুঝা যেতে হয় ?

Answer 1

জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)

হানাফি মাযহাব অনুযায়ীঃ

এক্ষেত্রে পাত্র পাত্রী প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই কেবল বিবাহ ছহীহ বলে গন্য হবে।

যদি কুফুর মিল না থাকে,সেক্ষেত্রে অভিভাবক আদালতের মাধ্যমে উক্ত বিবাহ ভেঙ্গে দেওয়ার অধিকার রাখবেন।

, 

হানাফি মাযহাবের দলিলঃ

 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ” جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبِي وَنِعْمَ الْأَبُ هُوَ، خَطَبَنِي إِلَيْهِ عَمُّ وَلَدِي فَرَدَّهُ، وَأَنْكَحَنِي رَجُلًا وَأَنَا كَارِهَةٌ. فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِيهَا، فَسَأَلَهُ عَنْ قَوْلِهَا، فَقَالَ: صَدَقَتْ، أَنْكَحْتُهَا وَلَمْ آلُهَا خَيْرًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نِكَاحَ لَكِ، اذْهَبِي فَانْكِحِي مَنْ شِئْتِ

হযরত সালামা বিনতে আব্দুর রহমান রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এল। এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা! কতইনা উত্তম পিতা! আমার চাচাত ভাই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল আর তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। আর এমন এক ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন যাকে আমি অপছন্দ করি। এ ব্যাপারে রাসূল সাঃ তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলে পিতা বলে, মেয়েটি সত্যই বলেছে। আমি তাকে এমন পাত্রের সাথে বিয়ে দিচ্ছি যার পরিবার ভাল নয়। তখন রাসূল সাঃ মেয়েটিকে বললেন, “এ বিয়ে হবে না, তুমি যাও, যাকে ইচ্ছে বিয়ে করে নাও”। {সুনানে সাঈদ বিন মানসূর, হাদীস নং-৫৬৮, মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১০৩০৪, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৫৯৫৩, দিরায়া ফী তাখরীজি আহাদিসীল হিদায়া, হাদীস নং-৫৪১}

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/4801/

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

https://www.ifatwa.info/1525

   

(০২)

না এই ছুরতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ

https://ifatwa.info/16302/

,

(০৩)

 হাদীসটি হলোঃ

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَالِدًا، يَذْكُرُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَطَّ خَطًّا وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَمِينِهِ وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَسَارِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ فِي الْخَطِّ الأَوْسَطِ فَقَالَ " هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ " . ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ (وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلاَ تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ) .

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি একটি সরল রেখা টানলেন এবং তাঁর ডান দিকে দুটি সরল রেখা টানলেন এবং বাম দিকেও দুটি সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী রেখার উপর তাঁর হাত রেখে বলেনঃ এটা আল্লাহ্র রাস্তা। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) এবং এ পথই আমার সরল পথ। অতএব তোমরা এ পথেরই অনুসরণ করো এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, অন্যথায় তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। (সূরাহ আনআম ৬: ১৫৩)

(ইবনে মাজাহ ১১)

★মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

যারা কুরআন হাদীস না মেনে, তার বাহিরে গিয়ে মনগড়া ভাবে ইসলাম মানবে,তারাই এই দল গুলো থেকে উদ্দেশ্য।

, 

(০৪)

এই ছবিতে যেহেতু নাক, চোখ বুঝা যায়না,তাই এটিকে সেই ছবিগুলোর অন্তর্ভুক্ত বলা যায়না।

তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন সতর্কতামূলক এসব  ছবি থেকেও দূরে থাকতে বলেছেন,নাজায়েজ বলে আখ্যায়িত করেছেন।