জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
مُسَدَّدٌ قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ قَالَ أَذَّنَ ابْنُ عُمَرَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ بِضَجْنَانَ ثُمَّ قَالَ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ فَأَخْبَرَنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ مُؤَذِّنًا يُؤَذِّنُ ثُمَّ يَقُولُ عَلَى إِثْرِهِ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ فِي اللَّيْلَةِ الْبَارِدَةِ أَوْ الْمَطِيرَةِ فِي السَّفَرِ.
নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রচন্ড এক শীতের রাতে ইবনু ‘উমার (রাযি.) যাজনান নামক স্থানে আযান দিলেন। অতঃপর তিনি ঘোষণা করলেনঃ তোমরা আবাস স্থলেই সালাত আদায় করে নাও। পরে তিনি আমাদের জানালেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুয়ায্যিনকে আযান দিতে বললেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ বাসস্থলে সালাত আদায় কর।
(বুখারী ৬৩২.৬৬৬; মুসলিম ৬/৩, হাঃ ৬৯৭, আহমাদ ৪৫৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬০৪)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ছাতা/রেইনকোট না থাকে,বা থাকলেও খুব বেশি বৃষ্টি হওয়ার কারনে মসজিদে যাওয়া আসলেই কষ্টকর, বা রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ার কারনে যাওয়া খুবই কষ্টকর হবে,এহেন অবস্থায় মসজিদে গিয়ে জামাতে সালাত আদায় ওয়াজিব থাকবেনা,তাবে তার পরেও মসজিদে গিয়ে সালাত আদায়ে ছওয়াব অনেক অনেক গুন বেশি পাওয়া যাবে।
,
আরো জানুনঃ
,
(০২)
হ্যাঁ উত্তম।
,
(০৩)
হ্যাঁ আলাদা ফজিলত আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَن عُثمَانَ بنِ عَفَّانَ رضي الله عنه قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: «مَنْ صَلَّى العِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ، فَكَأنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ، وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِي جَمَاعَةٍ، فَكَأنَّمَا صَلَّى اللَّيْلَ كُلَّهُ» رواه مُسلِم وفي رواية الترمذي عَنْ عُثمَانَ بنِ عَفَّانَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «مَنْ شَهِدَ العِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ لَهُ قِيَامُ نِصْفِ لَيلَةٍ، وَمَنْ صَلَّى العِشَاءَ وَالفَجْرَ فِي جَمَاعَةٍ، كَانَ لَهُ كَقِيَامِ لَيْلَةٍ». قَالَ الترمذي: حديث حسن صحيح
উসমান ইবনে আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত কিয়াম (ইবাদত) করল। আর যে ফজরের নামাজ জামাতসহ আদায় করল, সে যেন সারা রাত নামাজ পড়ল।”
তিরমিযির বর্ণনায় উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি এশার নামাজের জামাতে হাযির হবে, তার জন্য অর্ধ-রাত পর্যন্ত কিয়াম করার নেকি হবে। আর যে এশা সহ ফজরের নামাজ জামাতে পড়বে, তার জন্য সারা রাত ব্যাপী কিয়াম করার সমান নেকি হবে।”
[মুসলিম ৬৫৬, তিরমিযি ২২১, আবু দাউদ ৫৫৫, আহমদ ৪১০, ৪৯৩, মুওয়াত্তা মালিক ২৯৭]
(০৪)
হ্যাঁ প্রয়োজনে জায়েজ আছে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ