ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) যদি দুর্গন্ধ প্রবণ হয়, কিন্তু তরলতা এবং স্বাদে কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে উক্ত পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে। সুতরাং ওয়াসার পানি ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।
(২) চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
تغير الماء بتراب المعادن:
ذهب الحنفية والمالكية إلى أن تغير الماء المطلق بتراب المعدن لا يضر، ويجوز التطهر به؛ لأنه تغير بما هو من أجزاء الأرض. وذهب الشافعية والحنابلة إلى: أن الماء المتغير بما لا يمكن صونه عنه من تراب المعادن، بأن يكون في مقره أو ممره لا يمنع التطهر به، ولا يكره استعماله فيه.
খনিজ পদার্থ দ্বারা পানি পরিবর্তিত হলে করণীয়ঃ
হানাফি ও মালিকি মাযহাব মতে খনিজ পদার্থ দ্বারা পানি পরিবর্তিত হয়ে গেলে কোনোপ্রকার সমস্যা হবে না।এদ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয রয়েছে।কেননা এখানে জমিনের অংশ দ্বারা পানি পরিবর্তিত হচ্ছে।শাফেয়ী এবং হাম্বলী মাযহাব মতে,পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া এমন পানি যা খনিজ পদার্থর সাথে সংস্পর্শ হওয়া ব্যতীত অন্য কোনো উপায় নেই।যেমন পানির উৎসস্থলে বা পানির চলাচলের রাস্তায় উক্ত খনিজ পদার্থ থাকা।এমন পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।এতে কোনো সমস্যা নাই।এবং এ পানিকে ব্যবহার করাও মাকরুহ হবে না।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-১১/১৪৯)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2198
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কালার, তরলতা ও স্বাদ এই তিনটি গুণের কোনো একটি পরিবর্তিত হয়ে গেলে উক্ত পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে। তবে উক্ত তিনটি গুণের দুইটি গুণে পরিবর্তন চলে আসলে উক্ত পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয হবে না। সুতরাং আপনার বর্ণনামতে হাতিরঝিল ও বুড়িগংগার পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয হবে।