ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সোশ্যাল মিডিয়া একমাত্র দ্বীনি প্রয়োজন এবং খবর প্রদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। টাইমপাস বা উপভোগ বা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার পূর্বে হারাম ও নাজায়েয জিনিষ থেকে বাঁচার উপায়গুলো জানতে হবে। এটা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান। সুতরাং কেউ যদি নাজায়েয ও হারাম থেকে বাঁচার উপায়গুলো জানতে না পারে ,তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার জায়েয হবে না।হারাম থেকে বাঁচার উপায়গুলো না জেনে কেউ হঠাৎ যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত হয়, এবং হারামে লিপ্ত হয়, তাহলে এই হারামের গোনাহ তার অবশ্যই হবে।
বিশেষ জরুরত ছাড়া ছবি অঙ্কন করা বা ছবি তুলা হারাম।পাসপোর্ট বা শিক্ষা প্রতিষ্টান কিংবা চাকুরী ইত্যাদির জন্য ছবি তুলাকে ফুকাহায়ে কেরাম জায়েয বলেছেন। তাছাড়া দ্বীন প্রচারের স্বার্থে যদি কেউ ভার্চুয়াল জগতে কোনো একাউন্ট খুলে,তাহলে ভেরিফাইড একাউন্ট করার জন্য প্রুফাইল পিকচার হিসেবে দ্বীনদ্বারি ও নমনীয় ভঙ্গিমায় একটি ফটো দিতে পারে। এমনটাই অনেকে বলে থাকেন। অবশ্যই এ অনমতি পুরুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অন্যথায় সকল প্রকার ছবিই হারামের অন্তর্ভুক্ত।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1912ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা যে ছবি আপলোড করি, তা নাজায়েয ও হারাম । শুধুমাত্র দ্বীনি প্রয়োজনে জায়েয হতে পারে। বিনা প্রয়োজনে কেউ ছবি আপলোড করলে, এবং এ ছবির কারণে কেউ ফিতনায় পতিত হলে, এর এক হিসসা গোনাহ উক্ত আপলোড কারীর উপর বর্তাবে।
বিশেষ জরুরত ব্যতিত বিপরীত লিঙ্গের কারো লিখায় লাইক কমেন্ট করা যাবে না। এবং বিশেষ জরুরত ব্যতিত কারো সাথে ইনবক্সে কথা বলা যাবে না। নন মাহরাম শায়খদের লেকচার শুনা যাবে। তবে অযথা তাদের কোনো পোষ্টে লাইক কমেন্ট করা যাবে না।