ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর অনুমতি ব্যতীত একে অন্যর সম্পত্তি থেকে কোনো প্রকার খরচ করতে পারবে না।নিজ পিতা-মাতা বা আত্মীয়-স্বজনদেরকে সাহায্য-সহযোগীতা করতে পারবেন না।এমনকি আল্লাহর রাহে দান-খায়রাত পর্যন্ত ও করতে পারবেন না।
যেমন হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে....
হযরত আবু উমামা বাহেলী রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ البَاهِلِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خُطْبَتِهِ عَامَ حَجَّةِ الوَدَاعِ يَقُولُ: «لَا تُنْفِقُ امْرَأَةٌ شَيْئًامِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلَّا بِإِذْنِ زَوْجِهَا»، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَا الطَّعَامُ، قَالَ: «ذَاكَ أَفْضَلُ أَمْوَالِنَا
তরজমাঃ- আমি বিদায় হজ্বের ভাষণে আল্লাহর রাসুল সাঃ কে বলতে শনেছি তিনি বলেনঃ-কোনো মহিলা তার স্বামীর অনুমিত ব্যতীত স্বামীর মাল থেকে খরছ করতে পারবে না।নবী কারীম সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল সাঃ খাদ্যও কি(কাউকে দিতে) পারবে না? তদুত্তরে নবী কারীম সাঃ বললেনঃ এটাতো আমাদের উত্তম মাল( অর্থাৎঅনুত্তম মাল না পারলে উত্তম মাল কিভাবে খরচ করতে পারবে?)।(তিরমিযি শরীফ-৬৮) উক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায় স্বামীর অনুমিত ব্যতীত কোনোপ্রকার লেনদেন বৈধ হবে না।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর মৌখিক সম্মতি বা মৌন সম্মতি ব্যতীত একে অন্যর সম্পত্তিতে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কোনো একজন অন্যজনের সম্মত্তি থেকে অপরজনের মৌখিক বা মৌন সম্মতি ব্যতিত দান করতে পারবেনা।
(২) মহিলারা হিল জুতা পরিধান করতে পারবে না। কেননা এটা বিধর্মীদের ফ্যাশন। তাছাড়া শরীর মেদহীন অঙ্গকে জনসম্মুখে মেলে ধরে, যদ্দরুণ উক্ত জুতা পরিধান করা নিষেধ।
(৩)
গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1898
গাণ যদি অশ্লীল না হয়, বরং ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে উক্ত গান শ্রবণের অনুমোদন রয়েছে।