বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ঢিল ছুড়ে হত্যাকে রজম বলা হয়।এবং ইচ্ছাকৃত হত্যার অপরাধে কাউকে তরবারি দ্বারা গর্দান দ্বিখন্ডিত করে হত্যাকে কেসাস বলা হয়।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত হয়েছে যে,
الْقِصَاصُ وَاجِبٌ بِقَتْلِ كُلِّ مَحْقُونِ الدَّمِ عَلَى التَّأْبِيدِ إذَا قَتَلَ عَمْدًا كَذَا فِي الْهِدَايَةِ.
যার রক্ত স্থায়ী নিরাপদ ছিল,তাকে হত্যা করার কারণেই কেসাস ওয়াজিব হয়ে থাকে।
وَلَا يُسْتَوْفَى الْقِصَاصُ إلَّا بِالسَّيْفِ وَنَحْوِهِ كَذَا فِي الْكَافِي حَتَّى إنَّ مَنْ حَرَقَ رَجُلًا بِالنَّارِ، أَوْ غَرَّقَهُ بِالْمَاءِ تُضْرَبُ عِلَاوَتُهُ بِالسَّيْفِ، وَكَذَلِكَ إذَا قَطَعَ طَرَفَ إنْسَانٍ وَمَاتَ تُحَزُّ رَقَبَتُهُ بِالسَّيْفِ، وَلَا يُقْطَعُ طَرَفُهُ، وَكَذَلِكَ إنْ شَجَّهُ هَاشِمَةً، وَمَاتَ تُقْطَعُ عِلَاوَتُهُ بِالسَّيْفِ هَكَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ
কেসাস তরবারি দ্বারাই অর্জিত হয়।এমনকি যদি কেউ কাউকে আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে বা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে, তাহলে এর পরিবর্তে ঐ হত্যাকারীকে গর্দান দ্বি-খন্ডিত করেই কেসাস নেয়া হবে। ঠিক তেমনি যদি কেউ কোনো মুসলমানের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে টুকরা টুকরা করে হত্যা করে,তাহলে এই হত্যার কেসাসও শুধুমাত্র গর্দান দ্বি-খন্ডিত করেই নেয়া হবে। হত্যাকারীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে টুকরা টুকরা করে তাকে হত্যা করা হবে না।
ঠিক তেমনি যদি কেউ অন্য কারো মাথায় আগাত করে হত্যা করে,তাহলে এর কেসাসও তরবারি দ্বারা গর্দান দ্বিখণ্ডিত করে নেয়া হবে।মুহিত-সারখাসী
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৬/৪)
অনুরূপ রদ্দুল মুহতারেও বর্ণিত হয়েছে।
(ولا يقاد إلا بالسيف) وإن قتله بغيره خلافا للشافعي.
وفي الدرر عن الكافي: المراد بالسيف: السلاح.
قلت: وبه صرح في حج المضمرات حيث قال: والتخصيص باسم العدد لا يمنع إلحاق غيره به، ألا ترى أنا ألحقنا الرمح والخنجر بالسيف في قوله عليه الصلاة والسلام: لا قود إلا بالسيف فما في السراجية من له قود قاد بالسيف، فلو ألقاه في بئر أو قتله بحجر أو بنوع آخر عزر وكان مستوفيا يحمل على أن مراده بالسيف السلاح، والله أعلم.
(রদ্দুল মুহতার-১/৭০০)
ইমাম শাফেয়ী রাহ বলেন,হত্যাকারী যেভাবে হত্যা করবে,তাকেও অনুরূপ হত্যা করা হবে।
(২)
(وَ) اعْلَمْ أَنَّ (الْكِتَابَةَ بِعِلْمِهِ كَالْقَضَاءِ بِعِلْمِهِ) فِي الْأَصَحِّ بَحْرٌ فَمَنْ جَوَّزَهُ جَوَّزَهَا وَمَنْ لَا فَلَا إلَّا أَنَّ الْمُعْتَمَدَ عَدَمُ حُكْمِهِ بِعِلْمِهِ فِي زَمَانِنَا أَشْبَاهٌ
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় বলেন, বলেন,
(قَوْلُهُ إلَّا أَنَّ الْمُعْتَمَدَ) أَيْ عِنْدَ الْمُتَأَخِّرِينَ لِفَسَادِ قُضَاةِ الزَّمَانِ، وَعِبَارَةُ الْأَشْبَاهِ: الْفَتْوَى الْيَوْمَ عَلَى عَدَمِ الْعَمَلِ بِعِلْمِ الْقَاضِي فِي زَمَانِنَا كَمَا فِي جَامِعِ الْفُصُولَيْنِ.
(রদ্দুল মুহতার-৫/৪৩৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শাসক যদি কারো অপরাধের বিষয়ে নিশ্চিত হয়, কিন্তু অভিযোগকারী যথেষ্ট সাক্ষী উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়, এমতাবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হদ বা কেসসা দেওয়া যাবে না।তবে শাসক ঐ ব্যক্তিকে তা'যির তথা রাষ্ট্রীয় শাস্তি দিতে পারবে।
(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/১৯৯)
(৩)
অডিও বা ভিডিওকে শরীয়ত প্রমাণ মনে করে না।কেননা এখানেও জালিয়াতি হতে পারে।হ্যা অডিও কিংবা ভিডিও রেকর্ড সাক্ষীকে শক্তিশালী করবে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।বরং সাক্ষী ই মূল দলীল প্রমাণ হিসেবে শরীয়তে বিবেচিত হবে।