ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি সূরা বাকারার ২৩৮ নং আয়াতের ব্যখ্যায় আছরের নামায কে মুসহাফে তথা কুরআনে লিখে রাখার নিয়ত করলেন, ও লিখে রাখলেন।
" فأرادت عائشة أن تثبتها في المصحف – يعني كلمة " وصلاة العصر " في قوله تعالى : ( حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ ) البقرة/238 - لأنها اعتقدت جواز إثبات غير القرآن مع القرآن ، على ما روي عن أبي بن كعب وغيره من الصحابة أنهم جوزوا إثبات القنوت وبعض التفسير في المصحف ، وإن لم يعتقدوه قرآنا " انتهى باختصار وتصرف يسير.
" المنتقى شرح الموطأ " (1/246)
وقال صاحب كتاب " الكافي " من كتب الحنفية :
" إن كتب القرآن وتفسير كل حرف وترجمته جاز " انتهى.
نقله في " فتح القدير " (1/286)، وأورده أيضا في " رد المحتار " (1/486)
হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম কুরআনের তাফসীরকে কুরআনের গায়ে লিখা জায়েয মনে করেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এ হল, একদল উলামাদের কথা যে, প্রয়োজনে তথা বিশেষ প্রয়োজনে কুরআনের অর্থ ও তাফসীরকে কুরআনের মুসহাফের গায়ে লিখে রাখার অনুমোদন রয়েছে।
অন্যদিকে একদল উলামাদের মতে জায়েয নয়। বিশুদ্ধ কথা হল, জায়েয।