জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَهِدَ مِنۡکُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰهُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾
রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ছাবেত বুনানী রাহ. বলেন, আনাস ইবনে মালেক রা. যখন বার্ধক্যের কারণে রোযা রাখতে সক্ষম ছিলেন না তখন তিনি রোযা না রেখে (ফিদয়া) খাবার দান করতেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযযাক, হাদীস : ৭৫৭০
,
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
অসুস্থ কিংবা মৃত ব্যক্তির অনাদায় রোজা তার সন্তানেরা রেখে আদায় করতে পারবেনা।
★অসুস্থ ব্যাক্তির ক্ষেত্রে বিধান হলো,সে যদি কোনো ভাবেই নিজে কাজা আদায় না করতে পারে,তাহলে ফিদিয়াহ দিবে।
যদি ফিদিয়াহ আদায়ের পর আবার সেই ব্যাক্তি সুস্থ হয়ে যায়,তাহলে তার আগের দেওয়া ফিদিয়াহ যথেষ্ট নয়,পুনরায় উক্ত রোযা গুলির কাজা আদায় করতে হবে।
,
মৃত ব্যাক্তির ক্ষেত্রে বিধান হলো তার ওয়ারিশ গন সেই রোযা গুলির ফিদিয়াহ আদায় করবে।
যদি মাইয়্যিত ফিদিয়াহ আদায়ের অছিয়ত করে যায়,তাহলে তার তার ভাগের এল ভাগ সম্পদ থেকে ফিদিয়াহ আদায় করতেই হবে।
আর যদ মাইয়্যিত অছিয়ত না করে যায়,সেক্ষেত্রে ওয়ারিশদের উপর ফিদিয়াহ আদায় আবশ্যকীয় নয়।
চাইলে আদায় করতেও পারে,নাও পারে।
,
★ফিদিয়াহ হলো ছদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ কোনো কিছু বা তার মূল্য দিয়ে দেওয়া।