বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জনের উত্তম মাধ্যম।আল্লাহ তা'আলা নবীর উপর দুরুদ পাঠের নির্দেশ দিচ্ছেন।এবং পাঠকারীদের প্রশংসা করেছেন।এবং এই দুরুদ পাঠকে গোনাহ মাফের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।প্রয়োজন পূরণের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠِّﻤُﻮﺍ ﺗَﺴْﻠِﻴﻤًﺎ
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর।(সূরা আহযাব-৫৬)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﻋَﻠَﻲَّ ﺻَﻠَﺎﺓً ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺑِﻬَﺎ ﻋَﺸْﺮًﺍ
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করবে।(সহীহ মুসলিম-৩৮৪)
ঠিকতেমনি নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতির মাধ্যমেও দরুদ পাঠের কোনো বৈধতা নাই। কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে বসে বা দাড়িয়ে কুরআন হাদীসে বর্ণিত বাক্য ব্যতীত নির্দিষ্ট কিছু বাক্য উচ্ছারণ এবং উক্ত বাক্যর ফাঁকে ফাঁকে দরুদ পাঠের কোনো বৈধতা শরীয়তে নেই। এগুলো ইসলামের প্রাথমিক যুগে ছিল না। এগুলো বিদআত,পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক।আমীন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/3463