বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
কোনো একজন আলেম বা বিজ্ঞজন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী হতে পারেন।উনার আকিদা বিশুদ্ধ হতে পারে।তাই বলে উনার সবকিছুই যে গ্রহণযোগ্য হতে হবে, বিষয়টা এমন নয়।বরং সালাফে সালেহীনদের মধ্যে অনেক ইসলামিক স্কলারদের অনেক কথাকে জুমহুর উলামের কেরাম তাফাররুদ (ব্যক্তি ইজতেহাদ যা সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হয়নি) বলে উড়িয়ে দিয়েছেন,গ্রহণ করেন নি।ইমাম আবু হানিফা রাহ এর অনেক কথাকে উনার ছাত্ররা এবং পরবর্তী যুগের উলামারা গ্রহণ করেননি।ইমাম বোখারী রাহ এর দুধসম্পর্কীয় মাস'আলাকে দুনিয়ার কোনো আলেম গ্রহণ করেননি।ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ এর অনেক কথাকে হাম্বলী মাযহাবে গ্রহণ করা হয়নি।এভাবে অনেক নযীর আমাদের সামনে রয়েছে।জুমহুর বা অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম যা বলবেন,যা ফাতাওয়া দিবেন,সেটাকেই আমাদের ফলো করতে হবে।
আমি ঐ ফাতাওয়া বলেছিলাম,সাথে সাথে তাকী উসমানি এবং খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানির মত জগৎ বিখ্যাত ফকিহগণের কিতাবাদি পড়তে।মুফতী শফী রাহ ও থানভী রাহ এর গবেষনার দিকেও চোখ বুলানোর প্রয়োজন অনুভব করছি।
যাইহোক,দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জন্য জিহাদ ফরযে আইন শীর্ষক মন্তব্য এটা শুধুমাত্র শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম সাহেবের অভিমত।জুমহুর উলামায়ে কেরামের অভিমত না।আমাদেরকে জুমহুর উলামায়ে কেরাম বা নিজ নিজ ইমামদের ইজতেহাদের ফলো করতে হবে।জুমুহুর উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল,বর্তমানে জিহাদ ফরযে কেফায়া তবে ক্ষেত্রভেদে তা ফরযে আইনে রূপান্তরিত হবে।
জাযাকুমুল্লাহ। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
জবাব প্রদানে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.