আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
332 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
আজ ভোরে দেখলাম আমার আম্মুর খালাতো বোন রোম সাম্রাজ্যের শাসক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বায়্যিনাহ নামক এক শাসক। আমার খালা এসে দুঃখ করে বললেন যে তার পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না। আমি অভয় দিয়ে বললাম যে আমি তো আছিই। হঠাৎ করে আমার বাসার জানালা দিয়ে দেখলাম যে দোতলা থেকে একটা সরু ব্রিজ চলে গেছে যেখানে বায়্যিনাহ ও রোমের সৈন্যরা পরস্পর যুদ্ধ করছে। বায়্যিনাহর সৈন্যরা সবাই নেকাব আবৃত নারী, তীর-ধনুকের সাহায্যে যুদ্ধ করছে। আবার অপরদিকে বায়্যিনাহর লোকজন আমাদের কিছু নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে ও মেয়েগুলো যন্ত্রণায় চিৎকার করছে। এদের একজন ভার্সিটিতে উঠার পর বেশ মডার্ন হয়ে গেছে আর বাকিরা সাধারণ সালোয়ার কামিজ পরা মেয়ে (পর্দা করে না)।

এমন সময় দেখলাম খালা আমি পাশে থাকার আশ্বাস পেয়ে বায়্যিনাহকে ডেকে এনেছেন। বায়্যিনাহ দেখতে আমার পরিচিত দুই ভাইয়ের মত যাদের একজন শুধু লেবাসী দ্বীনদার ও অন্যজন রকমারি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ ভাই। বায়্যিনাহ অত্যন্ত চাতুর্যপূর্ণ দৃষ্টিতে আমাকে জিজ্ঞাসা করল আমার কি খবর। এমন মুহূর্তে আমার মনে হল দুটি হাদীসের কথা। একটি হল ফিতনার সময় নিজ গৃহে অবস্থান করা ও অন্যটি হল পথ স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর মুনাফিকের পক্ষ না নেওয়া। ইসতেখারা করতে চাইলাম কিন্তু সময় ছিল না। আমাকে ছোটবেলায় মানুষ করেছিল এক মহিলা (এখন আর আমাদের সাথে থাকেন না) তাকে বললাম দ্রুত রেডি হতে, আমরা চলে যাব। তার দেরী হওয়ায় বললাম আর কত দেরী হবে। উত্তরে উনি বললেন উনি কী উড়ে উড়ে আসবেন? আমি কথাটি একটু জোরে বলায় বায়্যিনাহ শুনে ফেলে। এমতাবস্থায় আমি একাই তিনতালায় দৌড়ে চলে যাই ও আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে দেখি ফজরের ওয়াক্ত আর ৫ মিনিট আছে।
[উল্লেখ্য আমার ঐ খালা সুদি ব্যাংকে চাকরি করেন ও তার মা বর্তমানে অসুস্থ আর আমাদের বাসা একতালায়।]

ঘুম থেকে উঠার পর মনে হল বায়্যিনাহ মানে বাইজানটাইন হতে পারে। আমার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি? ডিটেইলসে বলবেন প্লিজ। আর এরকম সিচুয়েশন বাস্তবে হলে কার পক্ষ অবলম্বন করা যুক্তিযুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
★মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি বুঝা যাচ্ছে যে এটি কল্পনা প্রসুত স্বপ্ন।
তাই এটি নিয়ে টেনশনের কিছু নেই।
,
এরকম সিচুয়েশন বাস্তবে হলে বায়্যিনাহ দের পক্ষ অবলম্বন করা যুক্তিযুক্ত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (67 points)
বায়্যিনাহদের পক্ষ অবলম্বন করার পিছনের যুক্তিগুলো একটু বুঝিয়ে বলবেন ? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...