ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যেহেতু এগুলো আমাদের প্রয়োজন, তাই প্রয়োজনে এগুলো আমরা ব্যবহার করবো। অযথা আমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবো। যদি কারো এগুলো ব্যবহারের প্রয়োজনিয়তা না থাকে, তাহেলে সে এগুলো থেকৈ নিজেকে বিরত রাখবে।
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢُ ﺍﻟْﻤَﻴْﺘَﺔَ ﻭَﺍﻟﺪَّﻡَ ﻭَﻟَﺤْﻢَ ﺍﻟْﺨِﻨﺰِﻳﺮِ ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻫِﻞَّ ﺑِﻪِ ﻟِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺿْﻄُﺮَّ ﻏَﻴْﺮَ ﺑَﺎﻍٍ ﻭَﻻَ ﻋَﺎﺩٍ ﻓَﻼ ﺇِﺛْﻢَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻏَﻔُﻮﺭٌ ﺭَّﺣِﻴﻢٌ
তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত, শুকর মাংস এবং সেসব জীব-জন্তু যা আল্লাহ ব্যাতীত অপর কারো নামে উৎসর্গ করা হয়। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু।
(সূরা বাক্বারা-আয়াতঃ১৭৩)
বিশিষ্ট ততাফসির বিশারদ আব্দুর রহমান আস-সি'দী রহ, উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করে বলেনঃ
( ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺿْﻄُﺮَّ
অর্থাৎ-পিপাসা বা খাবার না থাকার ধরুণ, অথবা কাররো ভয় প্রদর্শনের ধরুণ মৃতপ্রাণী (হারাম) ভক্ষণ করতে মজবুর হওয়া,এ ছাপড়ার বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকা।
ﻏَﻴْﺮَ ﺑَﺎﻍ
অর্থাৎ-হালালের উপর ক্ষমতা থাকার পর হারামকে অন্বেষণ করা অথবা প্রচন্ড বুক না থাকা-এরকম না হওয়া।
ٍ ) ﺃﻱ : ﻏﻴﺮ ﻃﺎﻟﺐ ﻟﻠﻤﺤﺮَّﻡ ، ﻣﻊ ﻗﺪﺭﺗﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺤﻼﻝ ، ﺃﻭ ﻣﻊ ﻋﺪﻡ ﺟﻮﻋﻪ .ﻭَﻻ ﻋَﺎﺩٍ
তরজমাঃ-প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে বা সুবিধা ভোগ করে সীমালঙ্ঘন করা যাবে না।বরং প্রয়োজনের ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
) ﺃﻱ : ﻣﺘﺠﺎﻭﺯ ﺍﻟﺤﺪ ﻓﻲ ﺗﻨﺎﻭﻝ ﻣﺎ ﺃﺑﻴﺢ ﻟﻪ ﺍﺿﻄﺮﺍﺭﺍً ، ﻓﻤَﻦ ﺍﺿﻄﺮ ﻭﻫﻮ ﻏﻴﺮ ﻗﺎﺩﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺤﻼﻝ ، ﻭﺃﻛﻞ ﺑﻘﺪﺭ ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺓ : ﻓﻼ ﻳﺰﻳﺪ ﻋﻠﻴﻬﺎ .( ﻓَﻼ ﺇِﺛْﻢ
অর্থাৎ-তখন হারাম জিনিষ ভক্ষণ করলেও কোনো গোনাহ হবে না।এ পরিস্থিতিতে হারাম সমায়িক সময়ের জন্য হালাল হয়ে যায়।এ সময় মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে তা ভক্ষণ করে জীবন বাচাতে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে যায়।এমনি তখন নিজের জীবনকে ধংসের ধরুণ তিরস্কারেরও যোগ্য হয়ে যায়।নিজের জীবন বাচানো তখন ফরজ, হারাম ভক্ষণ না করে তৎক্ষনাৎ মারা গেলে গোনাহগার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়ে যায়।তখন সে আত্মহত্যাকারী বলে বিবেচিত হয়ে যায়।এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ। এজন্যই আল্লাহ শেষে বলছেন " নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু"।