ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/990 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে বিশেষকরে স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছেন যে,আপন স্ত্রীর সাথে সদ্ব্যবহার করতে(সূরা নিসা-১৯)।স্ত্রীর সকল হাজত পূর্ণ করা এই সদ্ব্যবহারের আওতাধীন।
সুতরাং যেভাবে স্বামীর আহবানে সাড়া দেয়া স্ত্রীর জন্য ওয়াজিব।ঠিকতেমনি স্ত্রীর আহবানেও সাড়া দেয়া স্বামীর জন্য উচিৎ ও তার নৈতিক দায়িত্বের আওতাধীন।যদিও সাধারণ পরিস্থিতিতে ওয়াজিবের হুকুম আরোপিত হয় না।কিন্তু যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, স্বামী সাড়া না দিলে, স্ত্রী গোনাহে পতিত হতে পারে,এমন সম্ভাবনা রয়েছে অনদিকে স্বামীর শরয়ী কোনো উযরও নেই,তাহলে এমন পরিস্থিতিতে স্বামীর জন্যও সাড়া দেয়া দিয়ানাতান তথা নৈতিকভাবে ওয়াজিব হবে।(দিয়ানাতান এর অর্থ হল, এমন হক যে হকের ইস্যু তৈরী করে কোর্টে বিচার দায়ের করা যায় না)
হযরত উমর রাযি নিজ মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে,একজন স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গহীন ভাবে কতদিন ধর্য্য ধরতে পারে?উত্তরে উম্মুল মু'মিনিন হযরত হাফসা রাযি চার মাসের কথা বলেছিলেন।
সুতরাং এত্থেকে বুঝা গেল যে,স্ত্রীর ধর্য্যহীন পরিস্থিতিতে স্বামীর জন্য স্ত্রীর ডাকে সাড়া দেয়া স্বামীর উপর নৈতিক ওয়াজিব।স্বামী পাশে থাকাবস্থায় সহবাসহীন থাকা স্ত্রীর হয়তো এক দিন/সাপ্তাহও অসম্ভব হতে পারে?তাই স্বামীর শারীরিক সক্ষমতা থাকাবস্থায় স্ত্রীকে সঙ্গ দিয়ে স্ত্রীর প্রয়োজনকে পূর্ণ করা নৈতিকভাবে স্বামীর উপর ওয়াজিব হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/990
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) একাধিক স্ত্রী থাকলে রাত্রি-যাপন, ব্যয়ভার, বাসস্থান বিষয়ে সমতা ফরজ। অন্তরের মহব্বত যেহেুতু গায়রে এখতিয়ারি, তাই এ বিষয়ে যথেষ্ট চেষ্টার পরও যদি সমতা রক্ষা করা না যায়, তাহলে এর জন্য আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতা করা লাগবে না।
(২) রাত্রি-যাপনের ক্ষেত্রে কি সহবাসের ক্ষেত্রেও সমতা রাখতে হবে। তবে ইচ্ছাকৃত কাউকে সহবাস থেকে বঞ্চিত করলে এর জন্য আল্লহর নিকট জবাবদিহিতা করতে হবে।
(৩)সফরের ক্ষেত্রে একাধিক স্ত্রীর মধ্যে কি সবসময় লটারি করে নিতে হবে, তবে কারো এরকটি সফর নিকটবর্তী থাকলে এবং তাতে উভয়ের সম্মতি থাকলে তখন লটারী ব্যতীত যে কাউকে প্রথমে তারপর অন্য আরেকজনকে নেওয়া যাবে।