আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আস-সালামু আলাইকুম, শাইখ। আশা করি ভালো আছেন। আমার কয়েকটি প্রশ্ন আপনার প্রতি:

(১) একাধিক স্ত্রী থাকলে রাত্রি-যাপন, ব্যয়ভার, বাসস্থান বিষয়ে সমতা ফরজ। এর বাইরে কোন বিষয়ে সমতা রাখতে হবে??

(২) রাত্রি-যাপনের ক্ষেত্রে কি সহবাসের ক্ষেত্রেও সমতা রাখতে হবে? ধরেন, কোন কারণে স্ত্রীর সাথে রাত্রিযাপন করলেও সহবাস করলো না। এতে কি গুনাহ হবে??

(৩) সফরের ক্ষেত্রে একাধিক স্ত্রীর মধ্যে কি সবসময় লটারি করে নিতে হবে? নাকি পর্যায়ক্রমে  সাথে নিতে হবে?? কারণ লটারির ক্ষেত্রে হতে পারে একজন স্ত্রীর নামই সবসময় উঠতে পারে, বাকি স্ত্রীরা বঞ্চিত হতে পারে।

((আল্লাহ আপনার দ্বীনি মেহনতকে কবুল করুন))

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/990 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আল্লাহ তা'আলা স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে বিশেষকরে স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছেন যে,আপন স্ত্রীর সাথে সদ্ব্যবহার করতে(সূরা নিসা-১৯)।স্ত্রীর সকল হাজত পূর্ণ করা এই সদ্ব্যবহারের আওতাধীন।
সুতরাং যেভাবে স্বামীর আহবানে সাড়া দেয়া স্ত্রীর জন্য ওয়াজিব।ঠিকতেমনি স্ত্রীর আহবানেও সাড়া দেয়া স্বামীর জন্য উচিৎ ও তার নৈতিক দায়িত্বের আওতাধীন।যদিও সাধারণ পরিস্থিতিতে ওয়াজিবের হুকুম আরোপিত হয় না।কিন্তু যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, স্বামী সাড়া না দিলে, স্ত্রী গোনাহে পতিত হতে পারে,এমন সম্ভাবনা রয়েছে অনদিকে স্বামীর শরয়ী কোনো উযরও নেই,তাহলে এমন পরিস্থিতিতে স্বামীর জন্যও সাড়া দেয়া দিয়ানাতান তথা নৈতিকভাবে ওয়াজিব হবে।(দিয়ানাতান এর অর্থ হল, এমন হক যে হকের ইস্যু তৈরী করে কোর্টে বিচার দায়ের করা যায় না)

হযরত উমর রাযি নিজ মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে,একজন স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গহীন ভাবে কতদিন ধর্য্য ধরতে পারে?উত্তরে উম্মুল মু'মিনিন হযরত হাফসা রাযি চার মাসের কথা বলেছিলেন।
সুতরাং এত্থেকে বুঝা গেল যে,স্ত্রীর ধর্য্যহীন পরিস্থিতিতে স্বামীর জন্য স্ত্রীর ডাকে সাড়া দেয়া স্বামীর উপর নৈতিক ওয়াজিব।স্বামী পাশে থাকাবস্থায় সহবাসহীন থাকা স্ত্রীর হয়তো এক দিন/সাপ্তাহও অসম্ভব হতে পারে?তাই স্বামীর শারীরিক সক্ষমতা থাকাবস্থায় স্ত্রীকে সঙ্গ দিয়ে স্ত্রীর প্রয়োজনকে পূর্ণ করা নৈতিকভাবে স্বামীর উপর ওয়াজিব হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/990

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) একাধিক স্ত্রী থাকলে রাত্রি-যাপন, ব্যয়ভার, বাসস্থান বিষয়ে সমতা ফরজ। অন্তরের মহব্বত যেহেুতু গায়রে এখতিয়ারি, তাই এ বিষয়ে যথেষ্ট চেষ্টার পরও যদি সমতা রক্ষা করা না যায়, তাহলে এর জন্য আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতা করা লাগবে না। 
(২) রাত্রি-যাপনের ক্ষেত্রে কি সহবাসের ক্ষেত্রেও সমতা রাখতে হবে। তবে ইচ্ছাকৃত কাউকে সহবাস থেকে বঞ্চিত করলে এর জন্য আল্লহর নিকট জবাবদিহিতা করতে হবে। 
(৩)সফরের ক্ষেত্রে একাধিক স্ত্রীর মধ্যে কি সবসময় লটারি করে নিতে হবে, তবে কারো এরকটি সফর নিকটবর্তী থাকলে এবং তাতে উভয়ের সম্মতি থাকলে তখন লটারী ব্যতীত যে কাউকে প্রথমে তারপর অন্য আরেকজনকে নেওয়া যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (36 points)
তিন নম্বর উত্তরটি বুঝি নাই, শাইখ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...