আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন ১ - জার্নি বা রাস্তায় কিভাবে তায়াম্মুম করতে পারে বোনেরা? যদি নন মাহরামের সামনে পর্দা না নষ্ট করতে চায়...

প্রশ্ন২- ঋন, ধার শোধ করা বা সদকা কোনটা আগে করা উচিত?


প্রশ্ন৩- নামাজে বা মুনাজাতে কান্নার সময় চোখের পানি নাকের পানি বের হয়ে গেলে কি অযু ভেংগে যাবে?? যেহেতু শরীর থেকে কোনো তরল পদার্থ বের হয়ে গড়িয়ে পরলে অযু ভেংগে যায়??

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা নিসা-৪৩)

(জমিন ছাড়া) মাটি জাতীয় অন্যান্য জিনিসের উপরও তায়াম্মুম করা দুরুস্ত আছে; যেমন, মাটি, বালু, পাথর, বিলাতী মাটি, পাথর চুন, হরিতাল, সুরমা, গেরুমাটি ইত্যাদি। মাটি জাতীয় জিনিস না হইলে উহার উপর তায়াম্মুম জায়েয নহে; যেমন- সোনা, রূপা, রাং, গেহু, কাঠ, কাপড় এবং অন্যান্য শস্য ইত্যাদি। কিন্তু যদি এই সব জিনিসের উপর মাটি জমিয়া থাকে, তবে অবশ্য মাটির কারণে ইহার উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত হইবে।

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি তায়াম্মুম করা জায়েজ হয়,তাহলে কোনো কিছুর আড়ালে গিয়ে উপরোক্ত কোনো কিছু দিয়ে তায়াম্মুম করবে।
আড়াল সম্ভব না হলে বোরকার নিচ দিয়ে তায়াম্মুম করবে,তায়াম্মুমের স্থানে হাত ফিরাবে।

তায়াম্মুমের পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ
,
তায়াম্মুম করা কখন বৈধ,সেটি জানুনঃ
 
(০২)
ঋন.ধার আগে শোধ করবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْيَدِ مَا أَخَذَتْ حَتَّى تُؤَدِّيَهُ 
সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “কোন ব্যক্তি (ধারে) যা গ্রহণ করেছে, তা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তার জন্য সে দায়ী থাকবে।”

তাবারাণী, কাবীর ৭/২০৮ নং ২৮৬২; ইবনু আবী শাইবা ৬/১৪৬ নং ৬০৪; আহমাদ ৫/৮. ১২, ১৩; আবূ দাউদ, বুয়ূ ৩৫৬১; তিরমিযী, বুয়ূ ১২৬৬; নাসাঈ, আল কুবরা ৫৭৮৩; ইবনু মাজাহ, সাদাকাহ ২৪০০; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ১০২৪; হাকিম ২/৪৭; বাইহাকী, আরিয়াহ ৬/৯০; কুদাঈ, মুসনাদুশ শিহাব নং ২৮০, ২৮১।
,
(০৩)
চোখের পানি বের হওয়ার দ্বারা অযু ভেঙ্গে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 197 views
...