আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
311 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত  শায়েখ,

মেয়েদের মেকআপের ক্ষেত্রে হালাল সার্টিফাইড কিছু ব্র‍্যান্ড আছে। কিছু আছে হালাল সার্টিফাইড না, হতে পারে হালাল।
কিছু পুরোপুরি হারাম।

ফেইস পাওডার,লিপস্টিক,শেম্পু,ময়েশ্চারাইজার  ইত্যাদিতে বিভিন্ন উপাদান ব্যাবহার করা হয়। যা প্ল্যান্ট সোর্স বা এনিমল সোর্স থেকে আসতে পারে।
যেমন আমার এক মেকাপ কিট এ ইংগ্রেডিএন্টসের মধ্যে -
magnesium stearate আছে।
গুগল থেকে পেলাম -
What are sources of magnesium stearate?
 Stearic acid is derived from animal sources or plant-based sources.
সেক্ষেত্রে ক্লিয়ার করে জানা যায়নি যে ওই প্রোডাক্টে তারা কোন সোর্স থেকে ইউজ করেছে?

এক্ষেত্রে কোনো লিস্ট দিয়ে সাহায্য করবেন যেগুলো হারাম ইংগ্রেডিয়েন্ট কোড? ( মেক আপের,শ্যাম্পু ইত্যাদির)

আরেকটা রিলেটেড কোয়েশ্চেন-
যদি হারাম হয় প্রোডাক্টটি তবে তা অমুসলিম কারো কাছে বিক্রি করে সেই অর্থ বিনা সওয়াবে দান করে দেয়া যাবেকি?
প্রশ্নগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি। কেননা সম্প্রতি জানতে পেরেছি,neutrogena সরাসরি pig fat ব্যবহার করছে! যা সুস্পষ্ট হারাম! বাংলাদেশের অনেক বোনই এটা না জেনেই ইউজ করছে! আস্তাগফিরুল্লাহ।জাজাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5553 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
দৈনন্দিন ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস যেমন টুঠপেস্ট, বেনজিল, বডিলোশন,বা ফ্যাস ক্রিম,ফেইস পাওডার,লিপস্টিক,শেম্পু,ময়েশ্চারাইজার  ইত্যাদিতে  এলকোহল বা বিভিন্ন হারাম উপাদান রয়েছে। এগুলোর ব্যবহার কি হারাম হবে? এ্যালকোহল হারাম হওয়া যেহেতু নিশ্চিত নয়, তাই এটার ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে।

বর্তমান সময়ে বাজারে পাওয়া যাওয়া এলকোহল কি হালাল না হারাম? এ সম্পর্কে বিশিষ্ট ফকিহ শাইখুল ইসলাম তাক্বী উসমানী (দাঃবা) লিখেন,
وان معظم الكحول التي تستعمل اليوم في الادوية والعطور وغيرها لا تتخذ من العنب او التمر انما تتخذ من الحبوب او القشور او البترول وغيره
ভাবার্থঃএলকোহল যা আজ বিভিন্ন ঔষধ বা আতর/সেন্টে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার অধিকাংশই আঙ্গুর বা খেজুর থেকে তৈরী হচ্ছে না।বরং তা বিভিন্ন প্রকার শস্যদানা,খোসা,এবং খনিজ পদার্থ ইত্যাদি থেকেই তৈরী করা হচ্ছে।(বিধায় সেগুলো হারাম হবে না যতক্ষণ না মদ হওয়ার পূর্ণবিশ্বাস হচ্ছে)(তাকমিলাতু ফাতহুল মুসলিম 3/608) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/165

https://www.ifatwa.info/4759 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
কোন হারাম জিনিষির মূল স্বত্ত্বা যখন পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন সেটা জায়েজ হয়ে যায়।এটা ফিকহের মূলনীতি সমূহের একটি। ফুকাহায়ে কেরাম ভিন্ন আরেকটি হাদীসের আলোকে ঐ মূলনীতিকে সংকুচিত করেন,
নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
 ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)

ফুকাহায়ে কেরাম মূলসত্বা পরিবর্তিত হয়ে গেলে শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্ত অনুমতি দেন।নতুবা সতর্কতামূলক এসব জিনিষ থেকে বেঁচে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিস্তারিত জানতে উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করুন। 

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত জিনিষে যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো হারাম সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত জিনিষ হারাম হবে না। বরং মূল বিধান হালালই থাকবে। তবে যখন কোনো হারাম সংমিশ্রন সম্পর্কে পূর্ণ আকিদা বিশ্বাস হয়ে যাবে, তখন উক্ত জিনিষ হারাম হয়ে যাবে। 

কোন কোন জিনিষে হারাম উপাদান রয়েছে, সেটা আমাদের নিশ্চিত জানা নাই। আপনি খেজ নিয়ে দেখবেন যে, কোন কোন জিনিষে হারাম উপাদান রয়েছে। মদ এবং শুকুর ব্যতীত অন্যান্য হারাম জিনিষ অমুসলিমের হাতে বিক্রি করা সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ থাকলেও অধিকাংশ উলামায়ে কেরামদের মতে জায়েয রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
+1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...