আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম।
বাবা যদি মৃত্যুর আগে সম্পদ ভাগ করে না দিয়ে যান আর তার যদি কোনো পুত্র সন্তান না থাকে তাহলে আমার জানা মতে, সম্পদের তিনভাগের দুইভাগ কন্যারা পাবে। আমার প্রশ্ন হলো, বাকি এক ভাগ কে পাবে?
আর, বাবা কি চাইলে তার জীবদ্দশায় কন্যাদের সব সম্পদ দিয়ে যেতে পারেন? সেক্ষেত্রে কি লিখিত উইল করে যাওয়া আবশ্যক নাকি মুখে বলাই যথেষ্ট হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সুরা নিসার ১১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱﴾ 

আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচেছন: এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু শুধু কন্যা দুইয়ের বেশী থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ, আর মাত্র এক কন্য থাকলে তার জন্য অর্ধেক। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ; সে নিঃসন্তান হলে এবং পিতা-মাতাই উত্তরাধিকারী হলে তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ; তার ভাই-বোন থাকলে মাতার জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ; এ সবই সে যা ওসিয়াত করে তা দেয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা জান না । এ বিধান আল্লাহর; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঐ এক ভাগ সম্পদের বন্টনের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির অন্যান্য ওয়ারিশগন আছে কিনা? সেটি দেখতে হবে।
যদি তার স্ত্রী থাকে,কিংবা ভাই বোন থাকে,তাহলে তারাও সম্পদ পাবে। 
তারপরও বেঁচে গেলে সেটি সেই মেয়েরা পাবে।
,
যদি মৃত ব্যক্তির অন্যান্য ওয়ারিশগন না থাকেন,তাহলে উক্ত এক ভাগ সম্পদ রদের মাসয়ালা অনুপাতে সমানভাবে উক্ত দুই মেয়ের মাঝে বন্টন হবে।
,
(০২)
জীবিত অবস্থায় সম্পত্তি দিলে সেটাকে হেবা বলে,মৃত বরনের পত সম্পত্তির ভাগকে মিরাছ 
বলে। 
,
হেবা এবং মিরাছ এক জিনিস নয়। হেবা হলো, কেউ তার জীবদ্দশায় সন্তুষ্টচিত্তে কাউকে কোনো সম্পদ দান করে দেয়া। 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাবা  চাইলে তার জীবদ্দশায় কন্যাদের সব সম্পদ দিয়ে যেতে পারেন।
হ্যাঁ যদি অন্যান্য ওয়ারিশগন থাকেন,যেমন স্ত্রী,ভাই বোন ইত্যাদি, তাহলে তাদেরকেও তাদের অংশ দিতে হবে। তাদেরকে বঞ্চিত করা যাবেনা।
হ্যাঁ যদি তারা না নিতে চান,তাহলে সমস্ত সম্পত্তি মেয়েদের দিতে পারবে।
,    
তাদেরকে বঞ্চিত করে সমস্ত সম্পত্তি যদি বাবা মেয়েদের দিয়ে যান,তাহলেও মেয়েরা সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে।
তবে বাবা এক্ষেত্রে তাদের বঞ্চিত করার কারনে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হবে।
,   
★জীবদ্দশায় সম্পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে লিখিত উইল করে যাওয়া আবশ্যক নয়। মুখে বলাই যথেষ্ট হবে,তবে এটি যেহেতু হেবা,তাই মালিকানা পূর্ণ হওয়ার হেবার মধ্যে কবজা শর্ত।

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...