জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সুরা নিসার ১১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱﴾
আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচেছন: এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু শুধু কন্যা দুইয়ের বেশী থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ, আর মাত্র এক কন্য থাকলে তার জন্য অর্ধেক। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ; সে নিঃসন্তান হলে এবং পিতা-মাতাই উত্তরাধিকারী হলে তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ; তার ভাই-বোন থাকলে মাতার জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ; এ সবই সে যা ওসিয়াত করে তা দেয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা জান না । এ বিধান আল্লাহর; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঐ এক ভাগ সম্পদের বন্টনের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির অন্যান্য ওয়ারিশগন আছে কিনা? সেটি দেখতে হবে।
যদি তার স্ত্রী থাকে,কিংবা ভাই বোন থাকে,তাহলে তারাও সম্পদ পাবে।
তারপরও বেঁচে গেলে সেটি সেই মেয়েরা পাবে।
,
যদি মৃত ব্যক্তির অন্যান্য ওয়ারিশগন না থাকেন,তাহলে উক্ত এক ভাগ সম্পদ রদের মাসয়ালা অনুপাতে সমানভাবে উক্ত দুই মেয়ের মাঝে বন্টন হবে।
,
(০২)
জীবিত অবস্থায় সম্পত্তি দিলে সেটাকে হেবা বলে,মৃত বরনের পত সম্পত্তির ভাগকে মিরাছ
বলে।
,
হেবা এবং মিরাছ এক জিনিস নয়। হেবা হলো, কেউ তার জীবদ্দশায় সন্তুষ্টচিত্তে কাউকে কোনো সম্পদ দান করে দেয়া।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাবা চাইলে তার জীবদ্দশায় কন্যাদের সব সম্পদ দিয়ে যেতে পারেন।
হ্যাঁ যদি অন্যান্য ওয়ারিশগন থাকেন,যেমন স্ত্রী,ভাই বোন ইত্যাদি, তাহলে তাদেরকেও তাদের অংশ দিতে হবে। তাদেরকে বঞ্চিত করা যাবেনা।
হ্যাঁ যদি তারা না নিতে চান,তাহলে সমস্ত সম্পত্তি মেয়েদের দিতে পারবে।
,
তাদেরকে বঞ্চিত করে সমস্ত সম্পত্তি যদি বাবা মেয়েদের দিয়ে যান,তাহলেও মেয়েরা সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে।
তবে বাবা এক্ষেত্রে তাদের বঞ্চিত করার কারনে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হবে।
,
★জীবদ্দশায় সম্পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে লিখিত উইল করে যাওয়া আবশ্যক নয়। মুখে বলাই যথেষ্ট হবে,তবে এটি যেহেতু হেবা,তাই মালিকানা পূর্ণ হওয়ার হেবার মধ্যে কবজা শর্ত।
বিস্তারিত জানুনঃ