জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মূল হাদীসঃ
.
أخرج الطبراني وابن جرير عن عبد الرحمن بن سهل بن حنيف قال : نزلت على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في بعض أبياته : ( واصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي ) الآية ، فخرج يلتمسهم فوجد قوما يذكرون الله تعالى ، منهم ثائر الرأس وجاف الجلد وذو الثوب الواحد ، فلما رآهم جلس معهم وقال : " الحمد لله الذي جعل في أمتي من أمرني أن أصبر نفسي معهم " .
.
حدثنا الربيع بن سليمان، قال: ثنا ابن وهب، قال: أخبرني أسامة بن زيد، عن أبي حازم، عن عبد الرحمن بن سهل بن حنيف، أن هذه الآية لما نزلت على رسول الله ﷺ وهو في بعض أبياته ﴿وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ﴾ فخرج يلتمس، فوجد قوما يذكرون الله، منهم ثائر الرأس، وجافّ الجلد، وذو الثوب الواحد، فلما رآهم جلس معهم، فقال: "الحَمْدُ للهِ الَّذِي جَعَلَ لي فِي أُمَّتِي مَنْ أمرني أنْ أصبِرَ نَفْسي مَعَهُ" ورُفعت العينان بالفعل، وهو لا تعد..
.
وأخرج ابن جرير ، والطبراني ، وابن مردويه ، عن عبد الرحمن بن سهل بن حنيف قال : نزلت على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في بعض أبياته : واصبر نفسك [ ص: 523 ] مع الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي . فخرج يلتمسهم، فوجد قوما يذكرون الله؛ فيهم ثائر الرأس، وجاف الجلد، وذو الثوب الواحد، فلما رآهم جلس معهم وقال : "الحمد لله الذي جعل في أمتي من أمرني أن أصبر نفسي معهم" .
সারমর্মঃ
সাহল বিন হুনাইফ রাঃ থেকে বর্ণিত যখন ﴿وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ﴾ আয়াত নাযিল হলো,
তখন তিনি তাদের তালাশ করতে লাগলেন।
একটি কওমকে পেলেন, যারা আল্লাহর যিকির করতেছে, এলোমেলো চুলে,পুরাতন কাপড়ে,এক কাপড়ে,,,,তাদেরকে দেখে রাসুলুল্লাহ সাঃ তাদের সাথে বসে গেলেন,আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আমার উম্মতের মধ্যে এমন এক জাতী সৃষ্টি করেছেন,যাদের সাথে বসতে তিনি আদেশ করেছেন।
আদ দুররুল মানছুর ৯/৫২২)
★উল্লেখিত হাদীসের কাছাকাছি বাক্যের একটি হাদীসঃ
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِذَا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ إِنَّ اللّٰهَ يَنْزِلُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيُبَاهِىْ بِهِمُ الْمَلَائِكَةَ فَيَقُولُ: اُنْظُرُوْا إِلٰى عِبَادِىْ أَتَوْنِىْ شُعْثًا غُبْرًا ضَاجِّيْنَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ أُشْهِدُكُمْ أَنِّىْ قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ فَيَقُولُ الْمَلَائِكَةُ: يَا رَبِّ فُلَانٌ كَانَ يُرَهَّقُ وَفُلَانٌ وَفُلَانَةُ قَالَ: يَقُولُ اللّٰهُ عَزَّ وَجَلَّ: قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ. قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: فَمَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ عَتِيقًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘আরাফার দিন আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং হাজীদের ব্যাপারে মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাদের) সম্মুখে গর্ববোধ করেন এবং বলেন, তোমরা আমার বান্দাদের দিকে তাকাও, তারা আমার কাছে আসছে এলোমেলো চুলে, ধূলাবালি গায়ে, আহাজারী করতে করতে দূর-দূরান্ত হতে উপস্থিত হয়েছে। আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি তাদেরকে মাফ করে দিলাম। তখন মালায়িকাহ্ বলেন, হে রব! অমুক বান্দাকে তো বড় গুনাহগার বলে অভিহিত করা হয় এবং অমুক পুরুষ ও নারীকেও। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আল্লাহ তখন বলেন, আমি তাদেরকেও ক্ষমা করে দিলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আরাফার দিনের চেয়ে এত বেশি জাহান্নাম হতে মুক্তি দেবার মতো আর কোন দিন নেই।
শারহুস্ সুন্নাহ ১৯৩১, শু‘আবুল ঈমান ৪০৬৮,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৬০১)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এখানে একটি মাসয়ালা স্পষ্ট করছিঃ
সেটি হলো সামর্থ থাকা সত্ত্বেও এহেন পোশাক পরিধান করা থেকে,এহেন এলোমেলো চুল রাখতে রাসুলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ جَابِرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - زَائِرًا ، فَرَأَى رَجُلًا شَعِثًا قَدْ تَفَرَّقَ شَعْرُهُ ، فَقَالَ : أَمَا كَانَ يَجِدُ هَذَا مَا يُسَكِّنُ بِهِ رَأْسَهُ ؟ وَرَأَى رَجُلًا عَلَيْهِ ثِيَابٌ وَسِخَةٌ فَقَالَ : أَمَا كَانَ يَجِدُ هَذَا مَا يَغْسِلُ بِهِ ثَوْبَهُ ؟ "
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে বেড়াতে এসে এলোমেলো বিশিষ্ট এক লোককে দেখতে পেলেন তার মাথার চুলগুলো ছিল বিক্ষিপ্ত। তখন তিনি বললেনঃ এ লোকটি কি এমন কোন জিনিসই পায় না যা দ্বারা সে নিজের মাথার চুলগুলো পরিপাটি করে নিতে পারে? আরেক ব্যক্তিকে দেখলেন, তার পরনে রয়েছে ময়লা জামা। তার সম্পর্কে বললেনঃ এ লোকটি কি এমন কিছু পায় না, যা দ্বারা সে নিজের কাপড় ধুয়ে নিতে পারে?
মুসনাদে আহমাদ ১৪৮৯৩, নাসায়ী ৫২৩৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৪৮৩, শু‘আবুল ঈমান ৬২২৪, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৪৯৩, আবূ দাঊদ ৪০৬২, শারহুস্ সুন্নাহ্ ৩১১৯,মিশকাত ৪৩৫১)
وَعَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ ، عَنْ أَبِيهِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَعَلَيَّ ثَوْبٌ دُونٌ ، فَقَالَ لِي : " أَلَكَ مَالٌ ؟ " قُلْتُ : نَعَمْ . قَالَ : مِنْ أَيِّ الْمَالِ ؟ " قُلْتُ : مِنْ كُلِّ الْمَالِ ، قَدْ أَعْطَانِي اللَّهُ مِنَ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ وَالْخَيْلِ وَالرَّقِيقِ . قَالَ : ( فَإِذَا آتَاكَ اللَّهُ مَالًا فَلْيُرَ أَثَرُ نِعْمَةِ اللَّهِ عَلَيْكَ وَكَرَامَتِهِ "
আবুল আহওয়াস (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলাম। সে সময় আমার পরনে ছিল সাদাসিধে কাপড়। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমার সম্পদ আছে কি? আমি বললামঃ হ্যাঁ, আছে। এবার জিজ্ঞেস করলেন : কী সম্পদ আছে? আমি বললামঃ সব রকম মাল আছে- আল্লাহ তা‘আলা আমাকে উট, গরু, ছাগল, ঘোড়া, গোলাম প্রভৃতি দান করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা যখন তোমাকে সম্পদ দান করেছেন, তখন আল্লাহ প্রদত্ত নি‘আমাত ও তাঁর অনুগ্রহের নিদর্শন তোমার মধ্যে দৃশ্যমান হওয়া উচিত।
মুসনাদে আহমাদ ১৫৯২৮, নাসায়ী ৫২২৪, শারহুস্ সুন্নাহ্ ৩১২০, আবূ দাঊদ ৪০৬৩, শু‘আবুল ঈমান ৬১৯৭, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৫৯৬৭, মুসান্নাফ ‘আবদুর রায্যাক ২০৫১৩, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০২০২,মিশকাত ৪৩৫২)