আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
435 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

১।একজন সরকারি কর্মকর্তা পাত্রের হালাল ইনকাম এর সাথে হারাম মিক্স।ব্যাক্তি হিসেবে পাত্র আমার অনেক পছন্দ মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ্। কিন্তু তাঁর চাকুরী নিয়ে আমি অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছি। এখন কি এই চাকুরীর জন্য আমি মানুষটাকে হারিয়ে ফেলবো? উপরন্তু তার হারাম ইনকাম আমি চাইনা। পরবর্তীতে সে যদি হারাম থেকে বেরিয়ে আসেও কিন্তু তাহলে এই হারাম গুলোকে কিভাবে হালাল থেকে আলাদা করবো? যেখানে তার হাতের গড়া সব কিছুতেই হারাম মিক্স থাকতে পারে।


২।যদি কোনো ব্যাক্তি বিগত ১০বছর যাবত হারাম খেয়ে আসে এবং তার সব কিছু বাড়ি গাড়ি আসবাব ব্যাবসায় হারামের টাকায় গড়া তাহলে সে কিভাবে এর থেকে বেরিয়ে আসবে? যদি সব দান করে দেয় তাহলে তো তার চলার মত কিছু থাকবেনা। আর সব দান করে দিবে রকম মনমানসিকতাও তার না থাকে এবং পাশাপাশি সে ফরজ ইবাদত নিয়মিত করে থাকেন 5 ওয়াক্ত সলাত কায়েম করে থাকেন। । তাহলে কি তার জন্য নিম্নের হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে? তাকে কি আমরা তার হালে ছেড়ে দিবো যে একদিন সে বুঝবে? আর তার উপার্জন খাওয়া কি আমাদের জায়েজ হবে? যদিও সে আমার আত্মীয় বা পরিবার এর কেউ হয়?
একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল, অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল, হ্যাঁ, পড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)

৩। আর আমাদের দেশের সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে সরকারের দেয়া কোয়াটার বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নেয়াটা কতটুকু শরীয়ত সম্মত বা জায়েজ হবে কিনা? যেখানে সুধ ঘুষ অন্যায় একটা মুখ্য ব্যাপার ! জানাবেন দয়া করে।
জাঝাকল্লাহু খইরণ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "
 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)
.
(০১)
তাকে বিবাহ করা জায়েজ আছে।
তবে হারাম টাকা থেকেই খাবার খেলে,হারাম টাকায় ক্রয়কৃত কিছু ব্যবহার করা হারাম হবে।

পরবর্তীতে সে যদি হারাম থেকে বেরিয়ে আসে, তাহলে এই হারাম গুলোকে হালাল থেকে আলাদা করার পদ্ধতি হলোঃ
যতটাকা সে হারাম উপার্জন করেছে,পন্য খাবার ক্রয় করেছে, ঐ পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে দান করে দিবে।
,
(০২)
নামাজ সঠিক ভাবে আদায় করলে অবশ্যই সে এমন হারাম কাজ থেকে বের হয়ে আসবে।

উক্ত হারাম সম্পদ বা তার সমপরিমাণ হালাল টাকা সবই আস্তেধীরে হলেও দান করে দিতে হবে।
করজ নিয়ে হলেও সেই পরিমান টাকা দান করে দিবে।
উক্ত হারাম সম্পদে গড়া গাড়ি বাড়ীর ভাড়াও হারাম।     
(০৩)
সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে সরকারের দেয়া কোয়াটার বা অন্যান্য বৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহন করা জায়েজ আছে।
কোনো সমস্যা নেই। 

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...