আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (129 points)
reshown by
আসসালামু 'আলাইকুম হযরত।

আমার চারটা মাস'য়ালা জানার আছে।

তা তালাক সম্পর্কিত।

১,আমি একজন ওয়াসোয়াসায় আক্রান্ত লোক।অনেক আজেবাজে জিনিসের সাথে শর্তযুক্ত তালাকের চিন্তা মাথায় আসে।তার বিভিন্ন রুপ আছে।তার সাথে সম্পর্কিত একটি এমন যে,স্ত্রী কোনো কিছু নিষেধ করলে পরবর্তীতে ওই কাজ করার সময় মনে হয়,'ধুর,যা হবে হোক,ওর কথা মানব না,আমি তবুও এই কাজ করব,এতে যদি তা***ক হয় হোক'। এরকম চিন্তা কাজ করে। আমি তালাক নিয়ে অনেক ভীত থাকি।এজন্য আমি তালাক শব্দটা ওইভাবে লিখলাম যাতে একটু চিন্তা মুক্ত থাকি ইন শা আল্লাহ।যাইহোক,এখন সেম এমন একটি ঘটনা ঘটেছে।

আমার স্ত্রী আমাকে বলেছে ফেসবুকে কোনো মেয়ের পোস্টে,লাইক, কমেন্ট,শেয়ার না করতে।ত আমিও এর পর থেকে সাধারণত করিনা।কিন্তু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে করতেই হয় কারণ সেই মেয়েটা দ্বীনি বোন,অর্থ সাহায্য বা অন্য কোনো উপকারী পোস্ট লিখেছে বা ফিলিস্তিনি/আরাকান/কাশ্মীরের নির্যাতিত বোন যারা লেখা ছড়িয়ে দেয়া জরুরি।

তখন আমার মাথায় কাজ করে ঠিক সেম কথা এবং আরো কাজ করে যে,' আমার স্ত্রীর চেয়ে এই মহিলার কথা ভার বেশি। ধুর তা'***ক* আমার স্ত্রীকে মেনশান করি।এই কথা মাথা থাকা অবস্থায় আমি সেই পোস্টে শেয়ার লাইক বা কমেন্ট দি।

এরকম আগে অনেকবার হয়েছে।আগে ভাবতাম এভাবে তালাক হয়না।কিন্তু আজকে রাতে এটা খুব মনে হচ্ছে যে কোনো মুফতি সাহেবকে জিজ্ঞেস করা প্রয়োজন এজন্য জিজ্ঞেস করছি।উল্লেখ্য যে আলহামদুলিল্লাহ আমার ওয়াসওয়াসা প্রায় ৯৫% চলে গেছে।আগে দিনে শতবার মত তালাকের চিন্তা আসত,এখন পাচ দশ বারেরো কম আসে।

উত্তর দিবেন ইন শা আল্লাহ।জাযাকুমুল্লাহু খাইর

২,আমার ওয়াসোয়াসা যখন চূড়ান্ত ছিল তখন একদিন রিক্সায় যেতে যেতে মুখে এর ভিতর হাত মুঠ করে কিছুটা দিয়ে আমি সরাসরি তালাকের যে কথা চিন্তা করছিলাম সেটা উচ্চারণ করেছি স্ত্রীকে উল্লেখ্য করে।এমতাবস্থায় আমার ঠোট নড়েছিল কিন্তু কানে পৌছাইছে কিনা নিশ্চিত নই,আর আশেপাশে সাউন্ড ছিল গাড়িঘোড়ার এজন্য হয়ত শুনিনি তবে আমার নিয়াত একদম ছিলনা।এতে কি তালাক পতিত হতে পারে?

৩,আরেকটি কথা কেউ যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া ভুল করে বলে যে 'আমিত আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি'।কিন্তু আদতে সে দেয়নি।এতে কি তালাক হবে?

৪,আমি একবার স্ত্রীকে তালাকের কথা ভাবতে ভাবতে শুধু তিনবার ট্যালাক ট্যালাক ট্যালাক বলেছি।তালাক দেবার উদ্দ্যেশ্য ছিলনা।এতে কি সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (571,860 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রী কর্তৃক কোনো কাজ নিষেধ করার পরও স্বামী যদি উক্ত কাজ  করে নেয়, তাহলে তালাক পতিত হবে না। 

(২) দেখুন স্বরণ করে যে, উক্ত তালাকের উচ্ছারণের শব্দাবলী আপনার কানে কি পৌছেছিল, যদি পৌছে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে। আর যদি পৌছে না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না। 

(৩) যদি সে পূর্বে তালাক না দিয়ে থাকে, এবং এখন সে এরকম বলে থাকে যে, সে তালাক দিয়েছে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে। 

(৪) যদি স্ত্রীকে তালাক দেয়ার নিয়ত না থাকে, তাহলে উপরোক্ত অবস্থায় তালাক পতিত হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...