আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
347 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
closed by
কারো হায়েয প্রতিমাসে সাধারণত আগের হায়েয শুরুর তারিখ থেকে ২-৪ দিন আগে থেকে শুরু হয়। আর সাধারণত ৫ দিন স্থায়ী থাকে, তবে কখনো সাড়ে ৪ দিন অথবা ৫ দিনের একটু বেশি সময় ধরে থাকে। তাছাড়া হায়েযের শুরু থেকে রক্তপ্রবাহ সাধারণ হলেও কখনো এমন হয় যে, শুরুর দিকে ১/২ দিন স্রাবের সাথে অল্প পরিমাণ আসে এবং পরে পূর্ণভাবে হয় আবার কখনো প্রথমদিকে খুব ব্লিডিং হয়ে শেষের ১-৩ দিন স্রাবের সাথে অল্প করে আসে। হঠাৎ কখনো এমনও হয় যে, হায়েয দেখা দিয়ে ১/২ ওয়াক্ত বন্ধ থেকে পরে ব্লিডিং শুরু হয়।

এখন সমস্যা হচ্ছে সে গত দু মাসের হিসাব রাখতে ভুলে গিয়েছিল। তবে ২ মাস আগে তার হায়েয শুরু হয়েছিল ২৬ তারিখ আর এই মাসে তার অনুভূত হয় ১৯ তারিখ।

এবং এই মাসে তার যখন অনুভূত হয়, সে চেক করে সাদা স্বচ্ছ স্রাব ছাড়া অন্য রং দেখতে পেয়ে হায়েয বলে নিশ্চিন্ত হয়ে যায়[সত্যিই রক্ত কিনা এ ব্যাপারে তখন কোন সন্দেহ হয়নি, তাই ভালো করে দেখেনি], যেহেতু এই সময়টাতেই হবার কথা। কিন্তু ২-৩ ওয়াক্ত পর খেয়াল করে, তার ব্লিডিং হচছে না এবং স্রাবের সাথে রক্তও আসছে না। তবে স্রাব পুরোপুরি টলটলে নয়, একটু ভারি এবং ময়লা রঙ যেমন পিরিয়ডের শেষ দিকে থাকে,তবে সামান্য সাদা-সাদাও আসে। আর অন্যান্য উপসর্গ অর্থাৎ হায়েযের স্থানে অস্বস্তি বোধ করা, শরীর ব্যথা করা, তিতা/অরুচি লাগা ইত্যাদি আছে।
এখন সে কি নামাজ পড়তে থাকবে? যদি পড়ে তবে কি ঐ ২-৩ ওয়াক্ত এখনই ক্বাজা করবে? যদি রক্ত আসা শুরু করে, তবে কবে থেকে পিরিয়ড গণনা করবে?
closed

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে স্রাব পুরোপুরি টলটলে নয়, একটু ভারি এবং ময়লা রঙ যেমন পিরিয়ডের শেষ দিকে থাকে,তবে সামান্য সাদা-সাদাও আসে।

এটি যেহেতু স্পষ্ট সাদা কালারের নয়,তাই এটি হায়েজ।
এই অবস্থায় নামাজ আদায় করতে হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 165 views
...