ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَلَّا تَعُولُوا
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা। (সূরা নিসা-৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইসলাম পূর্ববর্তী সময়ে বিয়ের কোনো সংখ্যা নির্ধারিত ছিলনা, বরং যার যতটা ইচ্ছা সে ততটা বিয়ে করত। এমনকি নিজ সৎ মাকে বাবার ওরাছত সম্পত্তি বিবেচনা করে তখনকার লোকেরা বিয়ে করে বসত। শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মই ইনসাফ বিত্তিক পরিবার গঠনের নিমিত্তে স্ত্রীর সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবং সর্বোচ্ছ ৪ সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে কিছুটা শর্ত সাপেক্ষ্যে, শর্ত হল, সবাইকে ভরণপোষণ দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে, এবং সবার মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্টা করতে হবে। যদি কেউ ভয় করে যে, সে ইনসাফ প্রতিষ্টা করতে পারবে না, তাহলে সে এক বিয়েই করবে। একাধিক বিয়ের দরুণ তখন সে কঠোর শাস্তির সম্মুখিন হবে।