জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে সরকারী ভাবে ১+ মাস বন্ধের দিন গুলোর বেতন দেওয়া আপনার উপর আবশ্যকীয় নয়।
এই দিন গুলো বাদ দিয়ে ২য় কিস্তির বাকি টাকা আপনি পরিশোধ করবেন।
হ্যাঁ যদি তাদের সাথে চুক্তির সময় এই চুক্তি হয়ে থাকে যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কোনো সময়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেতন দিতেই হবে,আর আপনিও এই চুক্তির সাথে একমত হয়ে ক্লাশ শুরু করে থাকেন,তাহলে উক্ত দিন গুলোরও বেতন দিতে হবে।
,
ওয়াদা,চুক্তি ভঙ্গ কারীকে হাদীস শরীফে মুনাফিক বলা হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ "
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকের আলামত বা নিদর্শন তিনটি। সে (১) কথা বললে মিথ্যা বলে; (২) ওয়াদাহ করলে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার নিকট আমানাত রাখা হলে সে তার খিয়ানাত করে।
(তিরমিজি ২৬৩১)
,
অন্য হাদিসে আছে, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তির ওয়াদার ঠিক নেই, তার ধার্মিকতা (ঈমান) এর ঠিক নেই।’ (সহিহ ইবনু হিব্বান : ১৯৪)।
قال العلامۃ ابن نجیم المصریؒ: ومنھا البطالۃ فی المدارس کایّام الاعیاد ویوم عاشوراء وشھر رمضان فی درس الفقہ لم ارھا صریحۃ فی کلامہم والمسئلۃ فیہ علٰی وجہین فان کانت مشروطۃ لم یسقط من المعلوم شیٔ والاَّ فینغی ان یلحق ببطالۃ القاضی و قد احتذو فی اخذا القاضی مارتب من بیت المال فی یوم بطالتہ۔ (الاشباہ والنظائر:ص؍۹۵)
সারমর্মঃ এই দিন গুলোর বেতন যদি শর্ত যুক্ত হয়,তাহলে তাহা দিতে হবে।
আরো জানুনঃ
