ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইবনে আব্বাস(রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেন, “জিব্রাইল[আ.] আমার কাছে এক হরফে কুরআন তিলাওয়াত করলেন, আর আমি তাকে ভিন্ন ভিন্ন হরফে তিলাওয়াত করতে বলতে লাগলাম যতক্ষণ না, তিনি সাতটি ভিন্ন হরফে তিলাওয়াত করলেন।” [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ৩২১৯, ইংরেজি অনুবাদ: ৪।৫৪।৪৪২, সুন্নাহ.কম: ৫৯।৩০]
সাত হরফ বলতে কী বুঝায়?
সাত হরফ বলতে কুরআন তিলাওয়াতের সাতটি ভিন্ন উপায় বা ধরণকে যে বুঝায় তা উপরের হাদিসগুলো থেকেই বোধগম্য হবার কথা। এই সাত হরফে বিধানের(অনুমোদন/নিষেধাজ্ঞা) কোন পরিবর্তন হয় না।
ইবনে শিহাব(রহ.) বলেন: আমার কাছে এই কথা পৌঁছেছে যে, এই সাতটি প্রকার অপরিহার্যভাবে একই, অনুমোদন বা নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোন ভিন্নতা নেই। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ৭।১৯৩৮, ইংরেজি অনুবাদ: ৪।১৭৮৫, সুন্নাহ.কম: ২১৭৮৫০]
তবে, এই সাতটি ধরণ কিসের ভিত্তিতে হয়েছে, সে নিয়ে উলামাগণ অনেক আলোচনা পর্যালোচনা করেছেন। অনেকের মতে এর ভিত্তি হচ্ছে, আরবের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার পার্থক্য। কেউ কেউ এর সাথে আরো অনেক মতও প্রকাশ করেছেন। ভিত্তি যাই হোক না কেন, সাত হরফে আসলে সাত ধরণের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়: বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/8918
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে সমস্যার কথা বলছেন, এটা মূলত উচ্ছারণগত একটি সমস্যা। একেক প্রকাশনী একেক ভাবে বাংলা ভাষায় উচ্ছারণ করে প্রকাশ করেছে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য একটাই রাস্তা, এবং তা হল, আরবী ভাষা থেকে কুরআনে কারীমের তিলাওয়াত। সুতরাং আপনি আরবী শিখে তার আরবী ভাষায় কুরআনে কারীমকে তিলাওয়াত করবেন।