ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আলী রাযি বলেন,দু'জাহানের সরদার হযরত রাসূলে মকবুল সাঃ এর পবিত্র মুখে যে কথাগুলো জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত উচ্ছারিত হচ্ছিল এবং যারপর তিনি পরম প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যান তা ছিল এই
الصلوة الصلوة ،اتقوا اللّٰه فيما ملكت ايمانكم
অর্থাৎ নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখ,নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখ।তোমাদের অধীনস্থ দাসদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর।(আবু-দাউদ)
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, (মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন বলেন) আমার অনুমান যে, তিনি এটা মারফুভাবে বর্ণনা করেছেন (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী স্বরূপ বর্ণনা করেছেন)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أُرَاهُ رَفَعَهُ قَالَ " أَحْبِبْ حَبِيبَكَ هَوْنًا مَا عَسَى أَنْ يَكُونَ بَغِيضَكَ يَوْمًا مَا وَأَبْغِضْ بَغِيضَكَ هَوْنًا مَا عَسَى أَنْ يَكُونَ حَبِيبَكَ يَوْمًا مَا " .
তিনি বলেছেনঃ নিজের বন্ধুর সাথে ভালবাসার আধিক্য প্রদর্শন করবে না। হয়ত সে একদিন তোমার শত্রু হয়ে যাবে। তোমার শত্রুর সাথেও শত্রুতার চরম সীমা প্রদর্শন করবে না। হয়ত সে একদিন তোমার বন্ধু হয়ে যাবে। (সুনানে তিরিমিযি-১৯৯৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সদ্ব্যবাহারের অর্থ এই নয় যে, তাকে মাথায় তুলে রাখতে হবে। বরং তাকে তার প্রাপ্য এবং কাজের লোক হিসেবে যতটুকু মর্যাদা পেলে সে খুশি হবে, ততটুকু মর্যাদা-ই তাকে দিতে হবে। অযথা তার প্রতি অবিচার করা যাবে না। তাকে তার স্থরে রাখতে হবে। তাকে তার সীমারেখা বুঝিয়ে দিতে হবে। যদি সে ঠিকমত কথা না শুনে তাহলে তাকে ছুটি দিয়ে দিতে পারেন। তাকে আটকিয়ে রেখে তার উপর নির্যাতন করা যাবে না। তাকে রাখার সময়েই তার করণীয় ও বর্জণীয় দিকে সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত করেই তাকে রাখতে হবে। পরবর্তীতে এর খেলাফ কোনো কিছু করলে তাকে বরখাস্ত করার সম্পূর্ণ অধিকার আপনাদের থাকবে। অর্থাৎ আপনারা মধ্যপন্থাকে সর্বদা অবলম্ভন করবেন।