আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
336 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমাদের বাসায় এক নতুন কাজের মহিলা এসেছে (ছুটা বুয়া না)। ওনার একটি ছোট বাচ্চা আছে। আমি বাচ্চাটিকে খুব আদর করি। আম্মু আমাকে ওকে চেয়ারে আমাদের পাশে বসাতে মানা করে। আমি ওকে তাও বসাই কারণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন আমাদের যারা কাজ করে তাদের সমান ভাবে দেখতে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের যে সমস্যা। একটু লাই পেলে মাথায় ওঠে। আমাকে কিছু খেতে দিলে বাচ্চাটিকে না দিয়ে খাই না। এমনকি আমার আম্মু আব্বু ওকে নাতনির মত আদর করে। তা সত্ত্বেও ঐ মহিলা আর তার বাচ্চা আমাদের কথা শোনে না ঠিকমত। তাদের কাজকর্ম ঠিকমত করে না। আমাদের কথার মূল্য দিতে চায় না। অনেকের কাছে শুনি যে তারা কাজের লোককে মর্যাদা দেওয়ার পর কাজের লোক তাদের উপযুক্ত সম্মান করে নি। আমি জানি নবীজি অধীনস্তদের প্রতি সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

কিন্তু কোন কাজের লোককে সম্মান ও ভালোবাসা দেওয়ার পরেও তারা যদি মালিকের আনুগত্য না করে তাহলে তাদের সোজা পথে কীভাবে আনা যায় (সুন্নাহ সম্মত ওয়েতে)। একটি উদাহরণ দেই। আমার দাদী ইসলামকে মনেপ্রাণে মান্য করতেন। তার যিনি দেখাশুনা করতেন তাকে নিজের পাশে চেয়ারে বসে খাওয়াতেন। বিনিময়ে সেই মহিলা দাদীর সাথে চরম দুর্ব্যবহার করতেন।দাদী এর প্রতিবাদ করতে পারতেন না। এর অর্থ সেই মহিলা দাদীর ভালোমানুষির সুযোগ নিতেন। কাজের লোকের সাথে এমন ব্যবহার কীভাবে করা যায় যাতে সে উপযুক্ত ভালোবাসাও পায় আবার মালিকের সাথে দুর্ব্যবহার না করে, তার ভালোমানুষির সুযোগ না নেয় ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আলী রাযি বলেন,দু'জাহানের সরদার হযরত রাসূলে মকবুল সাঃ এর পবিত্র মুখে যে কথাগুলো জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত উচ্ছারিত হচ্ছিল এবং যারপর তিনি পরম প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যান তা ছিল এই
الصلوة الصلوة ،اتقوا اللّٰه فيما ملكت ايمانكم 
অর্থাৎ নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখ,নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখ।তোমাদের অধীনস্থ দাসদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর।(আবু-দাউদ)

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, (মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন বলেন) আমার অনুমান যে, তিনি এটা মারফুভাবে বর্ণনা করেছেন (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী স্বরূপ বর্ণনা করেছেন)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أُرَاهُ رَفَعَهُ قَالَ " أَحْبِبْ حَبِيبَكَ هَوْنًا مَا عَسَى أَنْ يَكُونَ بَغِيضَكَ يَوْمًا مَا وَأَبْغِضْ بَغِيضَكَ هَوْنًا مَا عَسَى أَنْ يَكُونَ حَبِيبَكَ يَوْمًا مَا " .
তিনি বলেছেনঃ নিজের বন্ধুর সাথে ভালবাসার আধিক্য প্রদর্শন করবে না। হয়ত সে একদিন তোমার শত্রু হয়ে যাবে। তোমার শত্রুর সাথেও শত্রুতার চরম সীমা প্রদর্শন করবে না। হয়ত সে একদিন তোমার বন্ধু হয়ে যাবে। (সুনানে তিরিমিযি-১৯৯৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সদ্ব্যবাহারের অর্থ এই নয় যে, তাকে মাথায় তুলে রাখতে হবে। বরং তাকে তার প্রাপ্য এবং কাজের লোক হিসেবে যতটুকু মর্যাদা পেলে সে খুশি হবে, ততটুকু মর্যাদা-ই তাকে দিতে হবে। অযথা তার প্রতি অবিচার করা যাবে না। তাকে তার স্থরে রাখতে হবে। তাকে তার সীমারেখা বুঝিয়ে দিতে হবে। যদি সে ঠিকমত কথা না শুনে তাহলে তাকে ছুটি দিয়ে দিতে পারেন। তাকে আটকিয়ে রেখে তার উপর নির্যাতন করা যাবে না। তাকে রাখার সময়েই তার করণীয় ও বর্জণীয় দিকে সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত করেই তাকে রাখতে হবে। পরবর্তীতে এর খেলাফ কোনো কিছু করলে তাকে বরখাস্ত করার সম্পূর্ণ অধিকার আপনাদের থাকবে। অর্থাৎ আপনারা মধ্যপন্থাকে সর্বদা অবলম্ভন করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...