আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
285 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু ।

১. হায়েজ অবস্থায় হিসনুল মুসলিম এপ এ থাকা সকাল সন্ধ্যার সকল যিকিরগুলো করা যাবে কি এবং ফজিলত পাওয়া যাবে কি?

২. হায়েজ অবস্থায় আযানের দুআ পড়া যাবে?

৩.  কোনো আত্মীয়ের নাবালেগ বাচ্চা যদি খুব বেশি দুষ্টামি করে, যেমনঃ বড়দের অবাধ্য হওয়া, গালিগালাজ করা, ঘরের জিনিসপত্রের ভাঙচুর, অন্য আত্নীয়স্বজনদের সাথে খারাপ ব্যবহার ইত্যাদি অসহ্য কাজগুলো অন্য কাউকে বললে যে "অমুকের ছেলেটা খুব বেশি দুষ্ট। সহ্য করা যায় না।" এধরণের কাজগুলো তাদেরকে বললে কি গীবত হবে? এগুলো বলার উদ্দেশ্য তার সম্পর্কে দুর্নাম  রটানো না, কথার মধ্যে দুষ্টামির কথা চলে আসলে তার এসব কাজ তুলে ধরা হয়।

৪. নাবালেগ ছোটভাই  তার বড় বোনকে খুব বেশি বিরক্ত করলে এবং দুর্ব্যবহার করলে সেইসব কাজের কথা বড়বোন যদি তার মাকে বলে তাহলে গীবত হবে কি?

৫. যিকির করার জন্য শুধু কি ঠোঁট নাড়াই যথেষ্ট,  নাকি আওয়াজও হতে হবে? যদি ফিসফিস আওয়াজও শোনা না যায়, শুধু মুখ নড়ে, তাহলে কি যিকির হবে?

জাযাকুমুল্লাহ খইর
closed

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা যায় না। তবে দুআ পড়া যায়, এবং দুআর নিয়তে কুরআনের আয়াতকেও পড়া যায়। সুতরাং আপনি হিসনুল মুসলিমে থাকা সকাল সন্ধ্যার যিকিরগুলো পড়তে পারবেন। 
(২) হায়েয অবস্থায় আযানের দুআ পড়া যাবে। 
(৩)"অমুকের ছেলেটা খুব বেশি দুষ্ট। সহ্য করা যায় না।" যেহেতু এগুলো বলার উদ্দেশ্য তার সম্পর্কে দুর্নাম  রটানো নয়, বরং কথার মধ্যে দুষ্টামির কথা চলে আসলে তার এসব কাজ তুলে ধরা হয়।তাই এ সব গিবতের অন্তর্ভূক্ত হবে না। 
(৪) নাবালেগ ছোটভাই  তার বড় বোনকে খুব বেশি বিরক্ত করলে এবং দুর্ব্যবহার করলে সেইসব কাজের কথা বড়বোন যদি তার মাকে বলে তাহলে গীবত হবে না। কেননা এখানে তরবিয়তের নিয়তেই মূলত বড়বোন তার মাকে বলছে। 
(৫) যিকির করা জন্য ঠোট নাড়ানো জরুরী নয়। তবে ঠোট নাড়িয়ে যিকির করা অবশ্যই উত্তম। নামাযের কিরাতের বিষয়টা অবশ্যই ভিন্ন, নামাযে ঠোট নাড়িয়ে কিরাত পড়তে হয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...