আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বংশলতিকা সংরক্ষিত না থাকলে শুধুমাত্র সম্ভাবনা আর ধারণার উপর ভিত্তি করে নিজেকে কুরাইশী দাবী করা যাবে কি?

আমার বংশ কুরাইশ থেকে আসার সম্ভাবনা আছে। আমার উপরস্থ প্রায় ১০ পুরুষ পর্যন্ত বংশলতিকা সংরক্ষিত ছিলো যারা সবাই কুরাইশী হওয়ার একটা চান্স আছে। তবে বংশলতিকা শুধু আমার আব্বুরই মুখস্ত ছিলো, দলীল-দস্তাবেজ নাই। উনি মারা যাওয়ার সাথে সাথে সেটাও হারিয়ে গেছে। এখন কি আমি নিজেকে কুরাইশী দাবী করতে পারবো? বা নামের শেষে 'আল কুরাইশী' লাগাইতে পারবো?

*আমার বংশ হলো 'মীর' বংশ। মীর বংশ হলো সাইয়্যেদ বংশের অংশ। এই সাইয়্যেদরা হলো আলী রা. এবং ফাতিমা রা. এর বংশধর অর্থাৎ কুরাইশী। তবে উপমহাদেশে আসার পর সাইয়্যেদরা সুলতানদের থেকে সম্মানস্বরুপ 'মীর' উপাধি পায়। তারপর থেকে তারা 'সাইয়্যেদ মীর' উপাধি ইউজ করত। পরবর্তীতে তাদের অনেকে "সাইয়্যেদ" বাদ দিয়ে নামের আগে শুধু 'মীর' ইউজ করা শুরু করে। এছাড়া কিছু নন-সাইয়্যেদও নিজেদের নামের আগে 'মীর' ইউজ করে। এখন আমি শিওর না যে, আমার বংশ 'সাইয়্যেদ মীর' না কি নন-সাইয়্যেদ। আমার পূর্ব ৮-৯ পুরুষের নাম আমি শুনেছি। তাদের সবার নামের আগে মীর আছে। যদিও আমার নামগুলা মুখস্ত নাই। এছাড়া আমার বাপ-চাচাদের দেখেছি বংশ নিয়ে অনেক গর্ব করতে। এজন্য একটা সম্ভাবনা আছে যে আমার বংশ কুরাইশ থেকে আসছে।

এখন আমি কি নিজেকে কুরাইশী দাবী করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শুধুমাত্র সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে কাউকে কুরাইশি বা নিজেকে কুরাইশি বলে দাবী করা যাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...