আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
১. একটা হাদিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, একজন সাহাবীকে জান্নাতি ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কারণ তাঁর বিশেষ গুণ ছিল, তিনি রাতে ঘুমানোর আগে সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে ঘুমাতেন, কারো প্রতি রাগ, বিদ্বেষ, হিংসা মনে পুষে রাখতেন না।
★আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যদি এই গুণটি অর্জন করার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এবং আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিবেন এই আশায় সবাইকে ক্ষমা করে দিতে চাই, কারো প্রতি রাগ, ক্ষোভ, হিংসা, বিদ্বেষ না রাখতে চাই, তাহলে এক্ষেত্রে কি শুধু সকল মুসলিম ভাইবোনদেরকেই ক্ষমা করলে হবে ? নাকি অমুসলিমরাও এর মধ্যে পড়বে?
★ যদি কেউ আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে কষ্ট দেয়, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে, কিন্তু যারা আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে কথা বলে, ইসলাম বিদ্বেষী (মুসলিম, অমুসলিম, ফাসেক) তাদের প্রতি মনে ক্ষোভ থাকে তাহলে কি সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার ব্যাপারটা আদায় হবে না? আমি যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমাশীল বান্দা হতে চাই, তাহলে তাদের প্রতিও কি আমার ক্ষমাশীল হতে হবে? নাকি শুধু ব্যক্তিগত কষ্টদানকারীর প্রতি ক্ষমাশীল হলেই চলবে?
২. রুকাইয়া (রা) এর ইন্তেকালের সময় ফাতিমা (রা) কান্না করলে তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন "অন্তর আর চোখ দিয়ে যে শোক প্রকাশ করা হয়, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং হাত ও জিহ্বা দিয়ে যে শোক প্রকাশ করা হয়, তা শয়তান থেকে।" এই ঘটনা কি সঠিক?
★ এখানে হাত ও জিহ্বার শোক দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে?
৩. গাছের পাতা, ফুল বা ডাল ছেঁড়ার ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি? সেটা নিজের গাছ হোক, অন্যের কিংবা রাস্তার। অকারণে ছিঁড়লে কিংবা বইয়ের ছবি তোলার জন্য ছিড়লে গুনাহ হবে কি? কখন ছেড়া বৈধ হবে?
৪. ছোট নাবালেগ বাচ্চাদের দুষ্টামি, উল্টাপাল্টা কাজ নিয়ে তাদের সামনে বা অনুপস্থিতিতে কারো সাথে হাসাহাসি করলে গীবত বা উপহাসের পর্যায়ে পড়বে কি? এতে কি গুনাহ হবে?
জাযাকুমুল্লাহ খইর।