ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিয়ে বহির্ভূত সকল প্রকার সম্পর্ক ও যোগাযোগ নারী পুরুষের হারাম ও নাজায়েয। একজন নারী একজন পুরুষের জন্য শুধুমাত্র বিয়ের মাধ্যমেই হালাল হতে পারে। বিয়ে ব্যতীত কোনো নারীকে নিয়ে কল্পনা করাও জায়েয হবে না। এমনকি বিয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরও বিয়ের পূর্বে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ، فَزِنَا العَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ المَنْطِقُ، وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي، وَالفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ كُلَّهُ وَيُكَذِّبُهُ»
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ বনি আদমের উপর যতটুকু যিনা লিখে রেখেছেন সে তা করবেই; এর থেকে কোন নিস্তার নেই। চোখের যিনা হচ্ছে- দেখা; জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, অন্তর কামনা করে ও উত্তেজিত হয় এবং যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা বাস্তবায়ন করে না।(সহীহ বুখারী-৬২৪৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
টুকটাক চ্যাট করলেও আপনার গোনাহগার হবেন। আপনি বিদেশ রয়েছেন, তাই আপনি উকিল নিয়োগের মাধ্যমে বিয়ে করে নেন। তাহলেই আপনার জন্য ঐ মহিলা হালাল হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি একজন কে আপনার বিয়ের জন্য উকিল নিযুক্ত করেন, ঐ উকিল আপনার পক্ষ্য থেকে দুই সাক্ষীর সামনে ঐ মেয়েকে বিয়ে করে নেবে।